BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মেধাবী ছাত্রী তামান্না আক্তারের জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এক দিন মুজুর পিতার সন্তান মেধাবী তামান্না আক্তার কলেজে ভর্তি হতে না পারলে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন তার স্বজনরা।জিপিএ-৫ বা গোল্ডেন-এ প্লাস পেয়ে ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ থাকা স্বত্তে¡ও ভর্তির অর্থ জোগাড় করতে না পেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রহর গুনছে তামান্না আক্তার নামের ওই মেধাবী শিক্ষার্থী।জানাযায়,তামান্না আক্তার বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের হতদরিদ্র দিন মুজুর মো: সিতু মিয়ার কন্যা ও বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।তামান্নার বাবার নিজস্ব কোন বাড়িঘর নাই। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নিজের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।তামান্নার বাবা যেদিন দিন মুজুরী করে আয় করতে পারেন সেদিন পরিবারের সবার ভাত জুটে, নয়তোবা সবাইকে উপোস থাকতে হয়।হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান তামান্না আক্তার ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখা চালিয়ে আসছিলেন। এসএসসি পর্যন্ত শুধূ মনের জোরে পড়ালেখা চালিয়ে ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছেন।অদম্য ইচ্চাশক্তি আর দৃঢ় মনোবলই ভালো ফলাফল করতে সহায়তা করেছে ওই মেধাবী শিক্ষার্থীকে।তামান্না আক্তারের পিতা মো: সিতু মিয়া জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার এই মেয়ে পড়ালেখার প্রতি খুবই আগ্রহী। কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই দিতে পারিনি। অধিকাংশ দিনই না খেয়ে স্কুলে যেতো। পড়াশুনা ছাড়া তাদের কোন চাহিদা নেই। নিজ মেধাগুণে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। আমার সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। ঘর বাড়ি কিছুই নেই। প্রতিবেশীর বাড়িতে নিজের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেছি। মেয়েটি এখন কলেজে ভর্তি হবে কিন্তু খরচ চালানের সাধ্য আমার নাই।