logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

বিশেষ সংবাদ

ঐতিহাসিক মহল

ভ্রুমন রাজ্য
আহসান মঞ্জিল - Ahsan Manzil

আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil ) বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মহল। এটি বিত্ত শতাব্দীর শেষে ঢাকার নবাবের আবাস হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর প্রসিদ্ধ গুলাবি রং এবং ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি করা হয়েছে। এহসান মঞ্জিলটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যের স্তম্ভ। বর্তমানে, এহসান মঞ্জিলটি একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং পর্যটকদের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের এক নজর দেওয়া হচ্ছে। এটি পর্যটকদের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরি দর্শনীয় এবং শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ একটি চিহ্ন।আহসান মঞ্জিলের ইতিহাসআহসান মঞ্জিলের ইতিহাস শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে। তখন জালালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার শেখ ইনায়েত উল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থানে একটি বাগান বাড়ি তৈরি করেন। পরবর্তীকালে তার পুত্র বাগান বাড়িটি এক ফরাসি বণিকের কাছে বিক্রি করে দেন। ফরাসিরা বাণিজ্য কুটির হিসেবে এই বাড়িটি ব্যবহার করত।উনিশ শতকের প্রথম দিকে, ঢাকার নবাবদের জমিদারীতে ফরাসিদের আধিপত্য বৃদ্ধি পায়। নবাবদের সাথে ফরাসিদের বিরোধের কারণে, নবাব আবদুল গনি ফরাসিদের কাছ থেকে বাগান বাড়িটি ফিরিয়ে নেন। তিনি এই বাড়িটিকে তার বাসভবনে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন।১৮৫৯ সালে নওয়াব আবদুল গনি মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি নামক একটি ইউরোপীয় নির্মাণ ও প্রকৌশল সংস্থাকে দিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে বলেন। এরপর ১৮৬০ সালে প্রাসাদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৮৭২ সালে শেষ হয়। আবদুল গনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।আহসান মঞ্জিলটি একটি দ্বিতল ভবন। এটি ইউরোপীয় ও ভারতীয় স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণে নির্মিত। এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম ও ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে।আহসান মঞ্জিলটি ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯০৬ সালে এখানে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার আহসান মঞ্জিলটিকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ।