BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় , কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রকাশ্যে চলছে কোচিং বাণিজ্য। প্রতিদিন সন্ধ্য ৬ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা চলে এই কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষকরা বিভিন্ন কৌশলে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে।কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী দিলিপ, মো.জসিম, শ্রীদিগেন ২য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ক্লাশ ওয়ারী ২শতাধিক শিক্ষাথীদের মাস প্রতি ৩০০-৫০০ টাকা নিয়ে কোচিং এ পড়ান। কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আতিক ও মো. শাহিন প্রধান শিক্ষক ফারুক আলমের সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষাথীদের মাস প্রতি সর্বনি¤œ ৩০০টাকা থেকে শুর করে ৫০০ টাকা নিয়ে কোচিং পড়ান।গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মো. খোকন স্কুল ভবনের ৩ তলায় তৃতীয় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৩০০- ৫০০ টাকা নিয়ে করে কোচিং এ পড়ান। সরেজমিনে দেখা যায় দিনের মত ক্লাশ হচ্ছে রাতের বেলাও।ছাত্রছাত্রীরা জানান , স্কুলে কোচিং বাধ্যতামূলক। না করলে অভিভাবকদের ডাকায় স্যারেরা।এব্যপারে গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. খোকন বলেন করোনাকালীন বাচ্চারা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কোচিংএপড়াচ্ছি ।কুকুয়াহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী দিলিপ,ও মো. জসিম জানান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভবাকদের অনুরোধে রাতে পড়াই।কুকুয়াগোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক মো.আতিক বলেন যারা একটু পিছিয়ে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা বাড়ী বসে পড়া লেখা করেনা তাই স্কুলে বসে পড়াচ্ছি রাতে। কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির মাহমুদ বলেন, এ বিষয় পরে কথা বলবো।কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আলম বলেন, আমি বিষয় কোন কথা বলতে চাইনা।বেশ কয়েক জন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন সরকার প্রাইমারী স্কুলের বিদ্যুত বিল দেয় । শিক্ষকরা রাতের বেলা দিনের মত স্কুল চালায় । এতে সরকারকে অতিরিক্ত বিদ্যুত বিলের টাকা দিতে হয়। এসব অনিয়ম করলেও দেখার মত কেহ নাই। আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিকুল আলম বলেন, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনা জেলা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাফ্ফর উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন খোজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল আলম মুঠোফোনে বলেন তদন্তপূর্বক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।