নাইম তালুকদার : সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূর মৃতদেহ ফেলে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্ত্রীর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ- স্বামী ও শ্বশুর- শাশুড়ি অমানবিক নির্যাতনে করে ওই নারী'র মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নারীর নাম সাজেদা বেগম (৩৫)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বশির মেয়ের স্ত্রী।
সাজেদা বেগমের বড় ভাই তছর উদ্দিন জানান আমাদের বাড়ি দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের (জগদল) গ্রামে।
আমার বোনের বশিরের সঙ্গে ১৫ বছর আগে ইসলামী শরীয়ত সম্মতভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের ২ বছর পর এক মেয়ে সন্তান জন্ম লাভ করেন। মেয়ে সন্তানের জন্মের কয়েক বছর পর তাদের সংসারে নেমে আসে অশান্তির ছায়া। বিবাহিত জীবনে প্রতিনিয়ত আমার বোনকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে নির্যাতন করতেন।
সর্বশেষ গতকাল (বুধবার) দিনভর নির্যাতন করেন তারা। পরে আমার বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে গেলে রাত আনুমানিক আটটার দিকে তারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমার বোন মারা গেলে বোনের লাশ ফেলে রেখে স্বামী ও বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
ময়না তদন্ত শেষে আমরা লাশ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। দাফনের পর থানায় মামলা দায়ের করবো।
এ-ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!