চট্টগ্রামের পটিয়ায় হঠাৎ থেমে যায় কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন। রাতের অন্ধকারে হঠাৎ এই ঘটনায় প্রায় ৯০০ যাত্রীর মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। অনেকেই নামতে শুরু করলে ট্রেনের সাউন্ড সিস্টেমে ঘোষণা আসে—“যাত্রীদের নামার দরকার নেই।”
সোমবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে পটিয়া উপজেলার গিরিশচন্দ্র বাজার এলাকায় থেমে যায় ট্রেনটি। ইঞ্জিনের বাফার হুক ভেঙে গিয়ে যাত্রীবাহী ১৮টি বগি ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় বগিগুলো স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। চারপাশের অচেনা পরিবেশে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
যাত্রী মাহবুব আলম জানান, ট্রেন হঠাৎ থেমে গেলে অনেকেই কারণ জানতে ছুটোছুটি শুরু করেন। কয়েকজন নেমেও পড়েন। পরে রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যাতে কেউ ট্রেন থেকে না নামেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন এসে বগিগুলো টেনে আনে। রাত ১২টার দিকে ট্রেনটি পুনরায় ছেড়ে যায়।
যদিও তাদের বগিতে তেমন ঝামেলা হয়নি, তবুও কয়েকটি বগিতে চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যায়। বিশেষত যেসব যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস ধরার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেসে ছিলেন, তারা বিপাকে পড়েন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদার জানান, পর্যটক এক্সপ্রেসে প্রায় ১০০ জন তূর্ণা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। তাঁদের কথা বিবেচনায় তূর্ণা এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত রাত সাড়ে ১১টার পরিবর্তে রাত পৌনে ২টায় ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুরু থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। দ্রুত উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়, ফলে দুই ঘণ্টার কম সময়েই যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!