হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়নের কুশিয়ারা মরা নদী অবৈধভাবে লীজ নিয়ে নদী শুকিয়ে মাছ আহরণের জন্য ৭ টি পানির পাম্প বসিয়ে সেচ অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী চক্র। ফলে মাছের বংশবৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি নদীর পাড়ে ইছবপুর গ্রামের কয়েকশ বাড়ি-ঘর ও রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়ে হাজারো গ্রামবাসীর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। রোববার (১৭ মার্চ) নিরীহ এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গেলে এ চিত্র উঠে আসে।
জানা যায়, ইছবপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৮৫১ দাগে মরা কুশিয়ারা নদীটি আরএস পরছায় গ্রামবাসীর ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত লেখা রয়েছে। কিন্ত গ্রামের প্রভাবশালী বাপ্পি মিয়া,মহিবুর মিয়া চৌধুরী,কাউছার মিয়া চৌধুরী, আমিরুল চৌধুরী ও মোবারক চৌধুরী নদীতে কয়েকটি বাঁধ দিয়ে চাওড় করছেন যে, নদীটি তারা সরকার থেকে লীজ এনেছেন। বাঁধ দিয়েই তারা কান্ত হননি বরং নদী শুকিয়ে তলানি থেকে মাছ আহরণের জন্য ৭টি শক্তিশালী পানির পাম্প বসিয়ে সেচ করছেন।
গ্রামবাসী জানান, বর্ণিত নদীতে আমরা আদিকাল থেকে গোসল, অযু, জমিতে পানি ব্যবহার, এবং শতাধিক ঘাটলা বেঁধে দৈনন্দিন কার্যাধি করে আসছি। গত ১৫ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে বাপ্পিসহ তার সহযোগীরা নদীটি সরকার থেকে মাছ আহরণের জন্য লীজ গ্রহন করেছেন মর্মে প্রচার করে নদীর পশ্চিম পাড়ে ৭ টি মেশিন বসিয়ে পানি সেচ করছেন। আমরা জানতে পারি তারা নদীর সমুদয় পানি শুকিয়ে মাছ আহরণ করবেন।
নদীটির পানি সেচ করলে আমরা নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তাছাড়া আমাদের গোসলসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। অপর দিকে জলমহাল আইনে পানি পুরোপুরি সেচ করা নিষেধ। কারণ পুরো জলমাহল সেচ করলে মাছের বংশবৃদ্ধি হয় না। তাই গ্রামের হাজারো মানুষের দাবি সেচ মেশিনগুলো জব্দ করে অবৈধভাবে মাছ আহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো মাহবুবুর রহমান বলেন ,গায়ের জোরে কেউ সরকারী জলমহালের মাছ আহরণ করতে পারবে না। সরজমিনে গিয়ে পানির পাম্প নদীতে পেলে তাৎক্ষনিক জব্দ করার জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!