আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি লিভার ও ক্যানসারে আক্রান্ত বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম। সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
শুনানিতে আইনজীবী আদালতকে বলেন, মামলার ঘটনায় আফ্রিদির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাদীও এভিডেভিট দিয়ে স্বীকার করেছেন যে তথ্যগত ভুলের কারণে তার নাম এজাহারে এসেছে। তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছেন, হাঁটার পর প্রস্রাবে রক্ত আসে, সেই সঙ্গে তার স্ত্রী গর্ভবতী। মানবিক কারণে জামিন প্রার্থনা করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আফ্রিদি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে ‘মিডিয়া সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়, তিনি লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। এজন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি মনোযোগ দিয়ে সব শুনেন। এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় তাকে পেটে হাত দিয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। ভিড়ের মধ্যে জুতা হারিয়ে তিনি খালি পায়ে হাজতখানায় যান।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসে। আর তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথীকে ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদুল হক বাবু নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা জয়নাল আবেদীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এবং তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর আসামি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!