তৌহিদ আফ্রিদি একজন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলা রয়েছে, যা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত আসাদুল হক বাবু নামের ছাত্রনেতার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা হয়।
মামলায় বাবুর পিতা ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন; মামলাটির শীর্ষ তিন আসামি হিসেবে নাম রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীমতি ওবায়দুল কাদের এবং প্রাক্তন ডিএমপি কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুনের। তৌহিদ আফ্রিদি এই মামলায় ১১ নম্বর আসামি এবং তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর আসামি হিসেবে নাম রয়েছে। পুলিশের সিআইডি তথ্য মতে, আফ্রিদি ও তার বাবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পক্ষে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোয় উসকানি দিয়েছেন; এর ফলে বাবুর মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
মামলার তদারকি: আসাদুল বাবুর পিতা ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অনেকেই অজানা আসামি হিসেবে নাম রয়েছে; জনস্বার্থে মামলাটি তদন্তে সিআইডি নিয়োজিত হয়েছে।
গ্রেফতারের তারিখ ও স্থান:
পুলিশ তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ একটি সিআইডি টিম ২৪ আগস্ট ২০২৫ (রবিবার) রাতে বরিশাল মহানগরীর বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করে। বরিশালের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন যে ঢাকা থেকে আসা সিআইডি দল এবং বরিশাল পুলিশের সহায়তায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় তাকে একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরপরই তাকে সিআইডি ঢাকা হেফাজতে নেয় এবং রাতে বরিশাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলা ও পটভূমি:
এই মামলা ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান/বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে ঘটে; ওই সময়কার গণস্বার্থের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আসাদুল হক বাবু নিহত হন। সিআইডি তদন্ত অনুসারে, তৌহিদ আফ্রিদি এবং তার বাবা সাংবাদিক নাসির উদ্দিন সাথী মাই টিভির মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বার্তা প্রচার করেছিলেন। নিহত বাবুর পিতা ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নাম উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এবং তার বাবা ২২ নম্বর আসামি হিসেবে রয়েছেন।
গ্রেফতারের পর প্রক্রিয়া:
গ্রেফতারের পর ২৫ আগস্ট আদালতে সিআইডি মামলা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তৌহিদ আফ্রিদির রিমান্ড আবেদন করা হয়। আইনের শুনানিতে সিআইডি ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল, কিন্তু আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলার অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতারের আধিকারিক অভিযোগ হচ্ছে ওই হত্যা মামলার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা, এবং গ্রেফতারের সময় ছিল ২৪ আগস্ট ২০২৫ রাত বরিশালের বাংলাবাজার এলাকায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!