আবু হানিফ বিন সায়ীদ, হবিগঞ্জ থেকে।।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ০৩ নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়ন এর জাতুকর্ণপাড়া ছান্দের মহল্লা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় সরকারি ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক পরিবারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, প্রকৃত গৃহহীনদের বরাদ্দকৃত এসব ঘর এখন টাকার বিনিময়ে হাতবদল হচ্ছে অবাধে এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলরা রয়েছেন নীরব ভূমিকায়।
সূত্রে জানা গেছে, রাজবানু (রায়ধন) নামের এক নারী তার বরাদ্দ পাওয়া ঘর আছান উল্লাহর ছেলে সাদিক নামের এক ব্যক্তির কাছে, মনুরা বেগমের মেয়ে লিকন আক্তার নিজের ঘর সীমা নামে আরেক মহিলার কাছে ও শাবাস আলীর মেয়ের জামাই মিজান তার দখলে থাকা ঘর মেহেরুন নামের এক নারীর কাছে লাখ টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিক, অথচ এটি এক ধরনের প্রকাশ্য লেনদেনে পরিণত হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থান নিশ্চিত করা। কিন্তু কিছু সুবিধাভোগী তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে গত ২২ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে অবগত করা হয় বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথীকে। এক দিন পর ( ২৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে) এ ব্যাপারে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী বলেন- "আমার লোককে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলেছি,তারা আগামীকাল ( ২৫ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২৫ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে কিনা এবং কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন,তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে, আগামীকাল আমার দপ্তরে এসে দেখা করেন। এর পরদিন ( ২৬ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে) সরাসরি তাঁর দপ্তরে উপস্থিত হলে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, যারা নতুন করে ঘরে বসবাস করছেন তারা প্রকৃত মালিকদের আত্নীয়ওতো হতে পারে! আপনি বিষয়টি বুঝবেন, দেখেন যারা নতুন করে ঘরে বসবাস করছেন তারা গরীব মানুষ তাদেরকে কীভাবে ঘর থেকে ওঠাই?
ইউএনও আরও বলেন যে, "তারা যে ক্রয় - বিক্রয় করছে এমন প্রমাণওতো আমি পাচ্ছি না, পরে এ প্রতিবেদক যারা নতুন করে ঘরে বসবাস করছে তাদের ঘরের কাগজপত্র আছে কিনা তা পরীক্ষা করলেইতো তারা যে অবৈধ তা প্রমাণ হয়ে যায় এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা ক্রয় করছে তাদের নামে কোনো দলিল হবে না।
সচেতন মহল প্রশ্ন রাখেন এটাই কি সঠিক উত্তর?
এ ব্যাপারে জানতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ডক্টর ফরিদুর রহমানের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি,এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েও হয়তো ওনার ব্যস্ততার কারণে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
সচেতন মহল মনে করেন এসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই ধরনের আবাসন অপরাধীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!