সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের সিন্ডিকেটের প্রধান আবু সাদেককে ৬ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা ও ব্যবসায়ী অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, রমনা থানার সাব-ইনস্পেক্টর আব্দুল কাদের।
গত ২১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে ২৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন অপহরণের শিকার ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী। মামলাটি নম্বর ১৪। এর আগে আবু সাদেক, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিসি ডিবি গোলাম সবুর, এক অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণ এবং আবু সাদেকের ম্যানেজার মো. শামিমসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী জুলফিকার আলীকে অপহরণ করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয় এবং ৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তাকে টাকা দিতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় এবং পরে আরও দুইবার নির্যাতন করা হয়। একবার ডিবি কার্যালয়ে এবং দ্বিতীয়বার ধানমন্ডির ১ নম্বর রোডের ড্রিমস বিউটি পার্লার ও ফিটনেস ক্লাবে তাকে নির্যাতন করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ওই বিউটি পার্লারটি আবু সাদেকের সিন্ডিকেটের সদস্যদের আড্ডার স্থান ছিল, যেখানে তারা বিভিন্ন অপহরণ ও চাঁদাবাজির পরিকল্পনা করতেন। এছাড়া, আবু সাদেক সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিশ্বস্ত ব্যক্তি হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ড্রেজার ব্যবসার একচেটিয়া ঠিকাদারি চালাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!