রুহুল আমীন খন্দকার, বিশেষ প্রতিনিধি :: দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল'সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এসময় অভিযান চালিয়ে ০৪ (চার) অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণকারীরা হলো- মোঃ ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মোঃ জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মোঃ রাজু ও মোঃ আলামিন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ইং) নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং কালে এই সকল তথ্য জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দের বাবার কাছে তার মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলেন আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, তাকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
এর কিছুক্ষণ পরে অপহরণকারীরা আবার ফোন করে নগদ সার্ভিসের তিনটি নম্বর দিয়ে ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের দেওয়া নম্বরে নগদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে অপহৃতের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিসি শহিদুল্লাহ আরও জানান, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম সোমবার অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে।
রিমনকে উদ্ধারের পরে গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত যথাক্রমে, ০১টি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, ০১টি চাকু, ০১টি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গুলশান বিভাগের ডিসি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে রিমনের বাবা রঞ্জিত চন্দ্র দে ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, আমি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করার পর মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে তারা উদ্ধার করেছে। পুলিশের আন্তরিকতা ও তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। এজন্য খিলক্ষেত থানা পুলিশের প্রতি আমি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!