মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতাদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন। ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ অন্যান্য নেতা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়, জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন— সব গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটি সর্বজনীন আইন হবে। এ আইনে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবাই চাকরিকালে সুরক্ষা পাবেন। এ আইনের আওতায় শ্রম আইনের সব সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।
এর ফলে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষ এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে, এর একটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে, কিছু অপেশাদার সাংবাদিক তৈরি হওয়ায় পেশাদার সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।তিনি বলেন, ‘সরকার চায়, হঠাৎ করে কোনো নোটিস ছাড়াই যাতে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা না হয়। একইভাবে কোনো নোটিস দেওয়া ছাড়াই কোনো সাংবাদিক যেন চাকরি ছেড়ে না দেন।
গণমাধ্যমে সরকার ন্যায্যতার জায়গা নিশ্চিত করতে চায়’।সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়, উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য থাকলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করত না। তবে, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে—পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া, যাতে যে কেউ মন চাইলেই সাংবাদিকতায় আসতে না পারেন। যাতে অপেশাদার সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতার দায় পেশাদার সাংবাদিকদের নিতে না হয়। সরকার চায়, পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতার অনুশীলন সুরক্ষিত হোক।
এই লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সকল অংশীজনের সাথে নিয়ে সরকার কাজ করবে।সরকারের অবস্থান পরিস্কার করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সত্যিকার অর্থেই চায়, গণমাধ্যম একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াক, যে গণমাধ্যম সরকারের ভুল ও ব্যর্থতাকেও তুলে ধরবে। প্রকৃত সমালোচনা সরকারকে তার ভুল সংশোধন করতে সাহায্য করে। আমরা গঠনমূলক সমালোচনাকে ভয় করি না। কিন্তু, মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা অপছন্দ করি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!