logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

বিশেষ সংবাদ

সরকারি ত্রাণ

জাতীয়
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ত্রাণ আনতে যাওয়া মিলনের স্ত্রী-সন্তানসহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ১৪ জনের

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০)। তিনি চাকরি করতেন ঢাকায়, সচিবালয়ে লিফটম্যান হিসেবে। চাকরির সুবাদে পরিচিতদের মাধ্যমে সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য তদবির করে ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল ঢেউটিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন।মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ইং) সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু পথে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মিলন, তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৩) ও দুই সন্তান আবু রায়হান (৬), আবু সিনান রুহান (৫)-সহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন।দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলনের মা খুড়িয়া বেগম। দুর্ঘটনায় মর্জিনা বেগম (৭০) নামে মিলনের এক নানী শাশুড়িরও মৃত্যু হয়েছে। মর্জিনা বেগম একই গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী। বোয়ালমারীর ছত্রকান্দা গ্রামটি আলফাডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তঘেঁষা। তাদের ডাকঘর এই আলফাডাঙ্গাতেই।বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নিহত মিলন মোল্যার চাচাতো ভাই রুহুল আমীন ঢাকা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ফরিদপুর ডিসি অফিসের ত্রাণ শাখা থেকে ত্রাণের টিন আনার জন্য মঙ্গলবার সকালে পিকআপে করে স্বপরিবারে মিলন মোল্যা ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণের টিন দেওয়ার কথা ছিল আজ, সে কারণেই আলফাডাঙ্গা এবং বোয়ালমারী থেকে তালিকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের সদস্যরা পিকআপযোগে ফরিদপুর আসছিলেন।মিলনের মামাত ভাই নুরুজ্জামান খসরু গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঢাকা থেকে কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের জন্য ত্রাণের টিনের ব্যবস্থা করে সোমবার বিকালে বাড়িতে আসে মিলন। সকালে ফরিদপুর রওনা হন। তার আগে গতরাতে সর্বশেষ কথা হয়েছিল তার সঙ্গে। বলেছিল যে ত্রাণের টিনগুলো বুঝিয়ে দিয়ে ওই পথেই চলে যাবেন ঢাকা। কিন্তু এটিই যে তার শেষ যাওয়া সেটি কেউ জানতো না।খসরু আরও জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন মেজো ছিলেন। তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম স্কুল শিক্ষক, আর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মাস্টার্স পাস করে আলফাডাঙ্গা সদরে মোবাইল টেলকমের দোকান দিয়েছেন। আট বছর আগে আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের রোকায়েশ মোল্লার মেয়ে সুমির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।