BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে, সব জায়গা চাষ উপযোগী করে তুলতে হবে "সারাদেশের সব অনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আবারও আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কিন্তু ঠিক তার উলটো চিত্র দেখা গেলো বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ০৫ নং সদর ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ড ধূলিয়া মধ্যের চর গ্রামে।প্রায় ৪০০ একর জমি চাষ করেন এলাকার প্রায় ২০০ পরিবার, এবং এই ২০০ পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয় এই চাষাবাদের মাধ্যমে, তারা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরায়, কিন্তু সেখানে যদি দেখা যায় ভাগ্যের চাকা ঘুরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এলাকার একটা ক্ষমতাসীন পরিবার, নিজস্ব ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে এই ২০০ পরিবার কে জিম্মি করে সরকারি ৪ টা কালভার্টের মধ্যে ৩ টা কালভার্ট ভরাট করে পানিবন্ধ করে রাখেন। এতে করে আবাদী ৪০০ একর জমি পানিতে তলিয়ে যায়, যার ফলে চাষীদের চাষ করার মতো আর কোন জমিই অবশিষ্ট নেই।এছাড়াও প্রধান সড়কের পাশে থাকা আজিমুন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ওই একই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে, কিন্তু বিলের পানির চাপের কারনে প্রধান সড়ক ভেঙ্গে যায়, ফলে স্কুলের আসা যাওয়া করা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন এখন চরম সঙ্কটাপন্ন অবস্থায়।এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায় যে, উক্ত বিলের পানি অপসারণ এর জন্য ৪ টি কালভার্ট থাকলেও ৩ টি কালভার্টই মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে।কোন কোন কালভার্ট মাটি দ্বারা ভরাট করা হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, সিরাজ খান ওরফে নান্নু খান'র বাড়ির সামনে কালভার্ট, আনোয়ার ঘরামীর বাড়ির সামনে ও হানিফ বয়াতির বাড়ির সামনের কালভার্ট তিনটা মাটি দ্বারা ভরাট করা ।ভুক্তভোগীরা আরো বলেন যে, পুরো বিলের পানি অপসারণের জন্য কালভার্টের পাশাপাশি মোটা মোটা পাইপ দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, যা প্রতিস্থাপন করা হলেও পানি নিষ্কাশনের বালাই নাই তেমন। তবে কালভার্ট গুলো ভরাট থাকার কারনে পুরো বিলের পানি বিলেই আটকে থাকে, মরণ হয় আমাদের।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, স্থানীয় লোকজন একত্রি হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদানের জন্য রওনা হয়েছেন, এবং তাদের জোড়ালো দাবী ছিলো বিলের পানি অপসারণ করে দ্রুত আবাদি অবস্থায় জমিকে ফিরিয়ে আনার।স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উল্লেখিত যে, গিয়াস উদ্দিন মুন্সি, দুলাল বয়াতি, সবুজ সরদার, সালাউদ্দিন বেপারি সহ সবার সাথে আলাপকালে জানা যায় যে, বিগত কয়েকবছর পূর্বে বিলের পানি নামানোর জন্য কালভার্ট এর পূর্ণব্যবস্থাপনা করা হয়, কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালভার্ট ভরাট করে রেখেছেন এবং পানি অপসারণের পথে বাধা প্রদান করেছেন। তাকে মৌখিক ভাবে একাধিকবার বলার পরেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।তবে থানা পুলিশ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন মুন্সি বলেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় গিয়েছিলাম, থানা পুলিশ থেকে তদন্ত করতে পুলিশ আসছিলো।এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ থানায় ধূলিয়া মধ্যের চর থেকে মেম্বার সহ অনেক লোক আসছিলো, তাদের সাথে কথা বলেছি, পরবর্তীতে থানা পুলিশ থেকে তদন্ত করার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি।