প্রায় এক মাস ধরে রংপুরসহ সারা দেশে চলছে শীত। হিমেল হাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণিজগতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। রংপুর চিড়িয়াখানার পশু-পাখিগুলোও শীতে কষ্ট পাচ্ছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, শীত থেকে পশু-পাখিদের রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিংহের খাঁচায় রুম হিটার দিয়ে পরিবেশ গরম রাখা হচ্ছে। ঘোড়ার গায়ে কম্বল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া খড় এবং চট ব্যবহার করে বেশকিছু প্রাণীর উষ্ণতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শীতের প্রভাবে হরিণ, বানর, ঘোড়া, গাধা, বাঘ, সিংহ, উটপাখি, ইমু পাখি, চিল পাখিসহ অন্যান্য পশুপাখি নেতিয়ে পড়েছে। গতকাল দুপুরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ায় প্রাণীগুলো কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
প্রতিটি খাঁচার ভিতরে পশু-পাখিগুলো গুটিসুটি মেরে বসে আছে। শীতে কাহিল সিংহ ও বাঘ। বানরগুলো লাফালাফি না করে খাঁচার কোনায় চুপচাপ বসে আছে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বর আলী তালুকদার বলেন, শীতের কষ্ট থেকে পশু-পাখিদের রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রাণীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। অসুস্থ হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। যেসব প্রাণী একেবারে শীত সহ্য করতে পারে না, তাদের প্রতিটি খাঁচার চারদিকে চট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!