নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিখোঁজের দুদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পায়ে কলসি বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ ওমর আলী’র লাশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওমর আলী রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত ফৈজদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, ওমর আলী এক সময় তার ছেলে রফিকুল ইসলামের অত্যাচারের শিকার ছিলেন। রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লিপি আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ওমর আলীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অত্যাচার করত। ফলে তিনি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ছেলের মৃত্যুর পর, লিপি আক্তার ও তার পরিবারকে কিছুদিন নিজের বাড়িতে থাকতে দেন, কিন্তু এক মাস পর তাকে ঘর ছাড়তে বলেন।
এদিকে, একাধিকবার জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ওমর আলী ও তার ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে লিপি আক্তারের ঝগড়া চলছিল। ৮ সেপ্টেম্বর, লিপি আক্তার ও তার পরিবার শফিকুল ইসলামকে মারধর করায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে, ১৬ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসতে থাকা অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইছাপুড়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) আমিরুল সিকদার বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর তারা মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটির গলায় কলসি বাঁধা ছিল, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ নদীতে ফেলা হয়েছে।
পরে, নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম এসে তার বাবা ওমর আলী’র মরদেহ শনাক্ত করেন এবং হত্যার অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে তার বাবা ওমর আলীকে হত্যা করে এবং কলসি দিয়ে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!