চাঁদপুর জেলা প্রশিক্ষিত যুব উন্নয়ন পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন সহ এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ আবিদ শাহ এর সাথে। এ সময় অধিদপ্তর ও পরিষদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।
একটা সময় ছিল ফেনী ফুলগাজী , কুমিল্লা অভয়াশ্রম সহ গাজীপুরে গিয়ে যুব উন্নয়নের স্বল্পমাত্র কয়েকটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ করা যেতো । সেক্ষেত্রে চাঁদপুর জেলার কোটা ছিল ২৫ জন। বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই ২৫ জন মিল করাটা সু কঠিন ছিল। গোটা জেলায় কর্মকর্তা ছিল দু'জন। ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম আমানুর রহমান ছিলেন চাঁদপুরে অতিরিক্ত দায়িত্বে। আর ছিল একজন উচ্চমান সহকারী। যুব ও কর্মসংস্থান বান্দব সরকার গঠন প্রক্রিয়ার পর স্থায় প্রতিটি জেলায় এ,ডি ও ডি,ডিদের পদায়ন হয়। সকল যুবদের তৎকালীন প্রিয় স্যার রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর আসেন ডেপুটি ডিরেক্টর হয়ে।
কিছুদিনের মধ্যেই চাঁদপুরে পা রাখেন প্রশিক্ষিত যুবদের জাতীয় যুব সংগঠন (প্রযুস) প্রশিক্ষিত যুব সংসদ।
বর্তমান স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে ও চক্ষু হাসপাতালের সামনে তাদের সাথে দুই দফা বৈঠক হয়। সার্বিক আলোচনায় মতানৈক্য হওয়ায় ডেপুটি ডিরেক্টর রফিকুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে জেলা প্রশিক্ষিত যুব উন্নয়ন পরিষদ সৃষ্টি হয়। শেখ মহসীন এর অর্থ, সময়, শ্রম, ঘাম মেধা দিয়ে প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা কমিটি গঠন হয়।
এই পরিষদের আহবানে সারা জেলা থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য এক ধরনের একটা হ্যারিক পড়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের জন্য যখন সারা জেলার কোটা ছিল ২৫ জন আর মিলানো যেত ১৩ থেকে ১৪ জন। এই পরিষদের বহুমুখী প্রচারের ফলে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশায় প্রশিক্ষনার্থীর ভিড় জমে যায়। যার রাজ সাক্ষী দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক সাংবাদিকদের কিংবদন্তি নেতা কাজী শাহাদাত ও ইকরাম চৌধুরী।
এক সময় জেলা প্রশিক্ষিত উন্নয়ন পরিষদের সার্বিক তদারকির ফলেই শত শত লোকের আজকের এই প্রতিযোগিতা। তাই রফিকুল ইসলাম স্যারকেও আমরা আজ ভুলি নাই। ভুলি নাই নজরুল স্যারের অবদানও।
শেষ ঝাঁকুনীটা দিয়ে গিয়েছেন সদ্য বিদায়ী শামসুজ্জামান স্যার। এই স্যারের বিদায় কালীন সংগঠক গন কেঁদেছিলেন। কেঁদেছেন তিনি নিজেও।
সার্বিক সহযোগিতায় যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাকিলার নাসির উদ্দিন, মনিরুজ্জামান টেলু,শাহ মোহাম্মদ পুরের স্বপন মাহমুদ, বিষ্ণুপুরের আব্দুল মান্নান,মতলবের সাব্বির আহমেদ, শাহারাস্তির জামাল, কচুয়ার শামীম সহ কয়েক দফা মিটিং শেষে সংবিধান গঠন ও অনুমোদন হয়।
ফরিদগঞ্জের সুলতান আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম, হাইমচরের নজরুল ইসলাম ও নূরে আলম লিটন। এদু জেলার যুব নেতাদেরও অবদান কম নয়।
সেদিনকার যুবক আজ তো বৃদ্ধ। তাই বয়স্ক যুবক হয়েই একসময়ের সুখে-দুখে থাকা সেই লোকগুলোই পরিদর্শনে যান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সার্বিক হালহকিকত জানতে। জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন নাহার ও উপ পরিচালক শামসুজ্জামান স্যারদের বিচক্ষণ পরামর্শে শেখ মহসীন কে আরো কিছুদিন কাজ করার জন্য নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন করে যান। স্যারদের বক্তব্য ছিল আরেকটিবার আহবায়ক হিসেবে থেকে পরিষদটাকে গুছিয়ে যান। তারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশিপ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর জেলা যুব উন্নয়ন পরিষদের আহবায়ক সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার শেখ মহসীন, যুগ্ন আহবায়ক অহিদুর রহমান খান উৎপল, সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন নান্নু,অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রানা, দ্বিপাক্ষিক এ সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
গৌরবের বিষয় হলো আজকের যিনি ডেপুটি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবিদ শাহ তিনি এই চাঁদপুরেরই কৃতি সন্তান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!