logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - সারা দেশ- বাগাদীতে সিএনজি চালক শরীফ হত্যা কারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বাগাদীতে সিএনজি চালক শরীফ হত্যা কারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ব্রাহ্মান সাখুয়ার শত শত নারী, পুরুষ সহ সর্বস্তরের জনগণ

বাগাদীতে সিএনজি চালক শরীফ হত্যা কারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

এইচ এম আরিফ হোসেন//
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মান সাখুয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী মফিজ তালুকদার ও আয়শা বেগমের এক মাত্র ছেলে সি এন জি চালক শরীফ তালুকদারের হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শরীফ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রাসেল ও সুমনের গ্রেপ্তারের ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ব্রাহ্মান সাখুয়ার শত শত নারী, পুরুষ সহ সর্বস্তরের জনগণ।  

মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন ২ ডিসেম্বর সোমবার নিহত সিএনজি চালক শরীফের তালুকদারের প্রতিবন্ধী পিতা মফিজ তালুকদার বাদী হয়ে নুসাইবা অটো ট্রেডার্স পার্সের দোকানের মালিক রাসেল গাজী (২৮)  ও ইঞ্জিল মিস্ত্রি সুমন পাটোয়ারী (৩৫) কে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
শরীফ হত্যার এক মাস হলেও পুলিশ আসামি ধরার ব্যাপারে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। ধরি, দচ্ছি বলে গরিমশি করছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে হত্যার ঘটনা অন্য দিকে প্রভাহিত করার চেষ্টা করতেছে। রাসেল ও সুমন পরিকল্পিত ভাবে শরীফকে ৩০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় ঢালীঘাট থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বাগাদী রাসেল গাজী'র দোকানে আটক করে মারধোর করে। পরে হত্যা করে ব্যাল্টের মাধ্যমে ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ হত্যার খবর শুনে রাত আনুমানিক ২ টা বাজে, শরীফের পরিবার   ও আমরা বাড়ির লোকজন জানি মেম্বারের মাধ্যমে ভোরবেলায়। অথচয় শরীফের স্ত্রী বিউটির সাথে রাত ১০ ঘটিকায় টাকার জন্য শরীফ ও রাসেলের কথা হয়। পুলিশ লাশের পরিবারের লোকজন চারাই লাশ নামিয়ে মাটিতে রাখে। মাঝ রাতে পুলিশকে খবর দিলো কে? শরীফকে দোকানে আটক করে রাসেল সুমন যদি চলে যায় তাহলে শরীফ যে মারা গেল মাঝ রাতে তারা জানলো কি ভাবে? কে পুলিশকে দোকানের চাবি দিয়ে দোকান খুলে দিয়েছে? মামলা হওয়া শর্তেও পুলিশ এখনোও কোন আসামীকে গ্রেফতার করেছে না। আমরা রাসেল ও সুমনের ফাঁসি চাই।

আরও পড়ুন

বরগুনায় প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত

বরগুনায় প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত

শরীফের মা আহাজারি করতে করতে বলেন আমার স্বামী এক জন প্রতিবন্ধী, এক মাত্র ছেলে শরীফের সুখের জন্য আমি নিজে অসুস্থ শরীল নিয়ে সৌদি আরব যাই। কথা ছিল দেশে আসার পর আমি শরীফকে বিদেশ পাঠাবো। আমার ডিসেম্বরে দেশে আসার কথা, আমার ছেলে বলেছে এয়ারপোর্টে থেকে আমাকে গাড়ি করে নিয়ে আসবে। ৩০ নভেম্বর রাতে আমার ছেলে কল করে বলে মা রাসেল ও সুমন ১১ হাজার টাকার জন্য আমাকে ঢালীঘাট থেকে উঠিয়ে নিয়ে  দোকানে আটকে রেখেছে। তারা টাকার জন্য আমাকে মাইরধোর করে। আমি রাসেলের বউকে বলি টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। বউ অন্তঃসত্ত্বা থাকায় রাতে টাকা নিয়ে যেতে পারে না। সকালে যাবে বলছে অথবা রাতে লোক পাঠিয়ে টাকা নিতে বলে। পরে সকালে শুনি আমার ছেলে আর বেচেঁ নাই। ৩ ডিসেম্বর পাগলের মত আমার ছেলের জন্য দেশে ছুটে আসি। আমার ছেলে আমার সাথে না দেখা করেই চিরদিনের জন্য তার নানার বাড়িতে শুয়ে আছে, আমার ছেলেকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারি না আমি। যারা আমার বুক থেকে আমার সন্তান কেড়ে নিয়েছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি এই পরিকল্পিত হত্যার বিচার চাই।


নিহত শরীফের শশুর বলেন আমার মেয়েটা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়ের সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই সে তার বাবাকে হারালো। এখন রাসেল সুমন আবার লোক জন দিয়ে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।  


এই ঘটনার পরপর আত্নগোপনে চলে যায় রাসেল বেপারি ও সুমন পাটোয়ারী। তবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে সমাধান করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আসামি পক্ষ।

জানা যায় ব্রাহ্মান সাখুয়ার তালুকদার বাড়ির শরীফ তালুকদার গত তিন মাস ধরে বাগাদী চৌরাস্তা মাস্টার মার্কেটের পাটর্স ব্যবসায়ী রাসেল গাজী (২৮) এর সি এন জি ভাড়ায় চালাতো। সি এন জি চালাতে গিয়ে শরীফ তালুকদার ১১ হাজার টাকা রাসেল গাজীর নিকট দেনা হন। এই দেনার টাকার জন্য দু পক্ষের উপস্থিতে এলাকার গন্যমান ব্যক্তির মধ্যস্থতায় ১০ ডিসেম্বর রাসেলের পাওনা টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে সিধান্ত হয়


কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত না হতেই মাদকাসক্ত রাসেল গাজী মাদক কেনার জন্য তার দোকানের মেকানিং সুমন পাটোয়ারী (৩৫) কে সঙ্গে নিয়ে রাসেল গাজীকে ৩০ নভেম্বর রাত ৯ ঘটিকায় ঢালীঘাট এলাকা থেকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে উঠায়। ঢালীঘাট এলাকার লোকজন বাঁধা দিলেও রাসেল গাজী ও সুমন পাটোয়ারী কাউকে কোন তোয়াক্কা না করে শরীফকে মারধোর করে বাগাদী চৌরাস্তা মাস্টার মার্কেটে রাসেলের গ্যারেজে নিয়ে আসে। এই সময় রাসেল গাজী ও সুমন শরীফকে মারধোর করে রাসেল গাজী শরীফের ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটির কাছে ফোন করে বলে ৩ হাজার টাকা মিলিয়ে দিতে, তা না হলে তার স্বামীকে আটক করে রাখবে। শরীফের স্ত্রী বিউটি রাত্রের মধ্যেই ৩ হাজার টাকা মিলিয়ে রাসেল কে কল করে বলে সে ৩ হাজার টাকা সকালে নিয়ে আসবে আর না হলে রাতে রাসেল লোক পাঠালে তার নিকট দিবে। আর বাকী টাকা আগামী ১০ ডিসেম্বর দিয়ে দিবে বলে তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। ভোররাত অনুমান ৫ ঘটিকার সময় ওয়ার্ড মেম্বার মনির এর মাধ্যমে শরীফের মৃত্যুর খবর জানতে পারে তার পরিবারের লোকজন।



শরীফের পরিবারের লোকজন তৎক্ষনাৎ ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখে তার মৃত দেহ মাটিতে পড়ে আছে। কয়েক জন পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত রয়েছে। পরে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের শেষ লাশ হস্তান্তর করলে ব্রাহ্মান সাখুয়া শরীফের নানার বাড়িতে ১ লা ডিসেম্বর রাত ১১ ঘটিকায় দাফন সম্পূর্ণ করা হয়।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

বাগাদীতে সিএনজি চালক শরীফ হত্যা কারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ব্রাহ্মান সাখুয়ার শত শত নারী, পুরুষ সহ সর্বস্তরের জনগণ

মোঃ আরিফ হোসেন, সহ সম্পাদক

image

এইচ এম আরিফ হোসেন//
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মান সাখুয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী মফিজ তালুকদার ও আয়শা বেগমের এক মাত্র ছেলে সি এন জি চালক শরীফ তালুকদারের হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শরীফ হত্যাকাণ্ডের সাথে

জড়িত রাসেল ও সুমনের গ্রেপ্তারের ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ব্রাহ্মান সাখুয়ার শত শত নারী, পুরুষ সহ সর্বস্তরের জনগণ।  

মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন ২ ডিসেম্বর সোমবার নিহত সিএনজি চালক শরীফের তালুকদারের প্রতিবন্ধী পিতা মফিজ তালুকদার বাদী হয়ে নুসাইবা অটো ট্রেডার্স পার্সের দোকানের মালিক রাসেল গাজী (২৮)  ও ইঞ্জিল মিস্ত্রি সুমন পাটোয়ারী (৩৫) কে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
শরীফ হত্যার এক মাস হলেও পুলিশ আসামি ধরার ব্যাপারে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। ধরি, দচ্ছি বলে গরিমশি করছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে হত্যার ঘটনা অন্য দিকে প্রভাহিত করার চেষ্টা করতেছে। রাসেল ও সুমন পরিকল্পিত ভাবে শরীফকে ৩০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায়