নিজস্ব প্রতিবেদক:
জন্মদিনে ১ দিন আগে থেকেই শুভাকাঙ্ক্ষী-প্রিয়জনের শুভেচ্ছায় সিক্ত বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থার ফাউন্ডার , নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ইশতিয়াক খান । ৩১তম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে নারীদের উন্নয়নের কথাও বললেন তিনি।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) ৩১ বছর পূর্ণ করলেন তানিয়া ইশতিয়াক । ১৯৯৪ সালের এ দিনে তার জন্ম।
বিজয়ী কন্যা তানিয়া চাঁদপুর শহরেই বড় হয়েছেন।প্রাথমিক সম্পন্ন করে মাধ্যমিক পড়েছেন লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ এবং ২০১৮ সালে ইংরেজি লিটারেচারে স্নাতক ও ২০২০ সালে স্নাতকোত্তার সম্পন্ন করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে।
স্নাতকে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিয়ে করেন শহরের পুরান বাজারের আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আশিক খানকে। তানিয়া নায়রা খান ও আরিশফা খান নামে দুই কন্যা সন্তানের জননী। স্বামী-সন্তান নিয়ে বর্তমানে থাকেন শহরের পুরান বাজারের শ্বশুর বাড়িতে। আর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি খান'স ধাবা বড় পরিসরে চালু আছে শহরের বড় স্টেশন যুমনা রোডে।
তানিয়া ইশতিয়াক খান শিক্ষিত ও কর্মহীন নারীদের জন্য বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থা এর মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে বিনা মূল্যে শতাধিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাজার হাজার নারীকে প্রশিক্ষিত করেছেন। এর মধ্যে অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া নারী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিজয়ীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা সব সময় করে আসছে।
এক সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মনের ভেতরে যে স্বপ্ন, যে প্রত্যাশা সেটা হচ্ছে, নারীদের স্বাবলম্বী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।
নারীদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, স্বীকৃতিবিহীন নারীর শ্রম, পারিবারিক সহিংসতা, অর্থ-সম্পত্তির ওপর নারীর নিয়ন্ত্রণহীনতা, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘নারী’ কবিতার ভাষায় , ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ কবিতাটি তিনি শেষ করেছিলেন এভাবে, ‘সেদিন সুদূর নয়, যেদিন ধরণী পুরুষের সঙ্গে গাহিবে নারীরও জয়!’ কিন্তু সে ‘সুদূর নয়’ যে আসলে কত দূর, তা আজও আমাদের অজানা।
জীবন দর্শনের প্রতিটি পর্বে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে ইসলামের বিধান রয়েছে। কিন্তু মানুষ তা মানছে না বলেই নানাবিধ অশান্তির ঘটনা ঘটে। আরেকটি বিষয়, ইসলাম বিধান প্রবর্তনের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের ন্যায্য অধিকার, সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর। তাই নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। আর ইসলামের বিধানগুলো নারীর অগ্রযাত্রা কিংবা উন্নতির জন্য কোনো প্রতিবন্ধক নয়। তাই আমার বিশ্বাস নারীরা স্বাবলম্বী হলে মুক্তি পাবে পারিবারিক ও জাতীয় অর্থনৈতিক সংকট।
"আমরা নহে দেবী, নহে সমান্য নারী, আমরা নারী, আমরা পারি, আমরাই বিজয়ী" এই স্লোগানে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত নারী উন্নয়ন সংস্থা বিজয়ীর মাধ্যমে
মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি গত পাঁচ বছর যাবত। বিশেষ করে নারীদের নিজ পরিচয় পরিচিত হওয়া,কর্মসংস্হান তৈরী করা,নিজের পরিবারে আয়ের উৎস হওয়াসহ সমাজে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কাজ করে যাচ্ছি । আমার লক্ষ্য হচ্ছে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা,নারী ও শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। জনকল্যাণে আপনাদের দোয়া ভালবাসা নিয়ে আমৃত্যু কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!