টঙ্গী: বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের দখল নিয়ে মাওলানা যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। ভোর ৩টার দিকে সাদপন্থি মুসল্লিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত
সংঘর্ষে নিহত তিনজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুর রউফ (৫৫), ময়মনসিংহের মজিবুর রহমান (৫৮), টঙ্গীর জহুরুল ইসলাম (৩৮), গোপালগঞ্জের আরিফ (৩৪), নরসিংদীর তরিকুল (৪২), চট্টগ্রামের সাহেদ (৪৪) সহ আরও অনেকে রয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দিতে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণ ও বিবরণ
স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ইজতেমা ময়দানের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। ময়দানের ভেতর থেকে মাওলানা যোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পাল্টা হামলা চালায় সাদপন্থিরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
যোবায়েরপন্থি তাবলীগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠিতে জানানো হয়, বুধবার দুপুরে ময়দানের বিষয়ে মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে, ভোর রাতে সাদপন্থিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ময়দানে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বিজিবি মোতায়েন
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত
সংঘর্ষের পরেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এই সংঘর্ষ বিশ্ব ইজতেমার মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!