টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে মাওলানা যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
- নিহত ও আহতদের পরিচয়
নিহতরা হলেন—কিশোরগঞ্জের বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার বেলাল (৬০) এবং বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুর রউফ, ময়মনসিংহের মজিবুর রহমান, এবং টঙ্গীর জহুরুল ইসলাম।
- সংঘর্ষের কারণ ও ঘটনাক্রম
স্থানীয়দের মতে, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে যোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
- ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা ও শান্তির আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "ধর্মীয় ইস্যুতে এমন সহিংসতা দুঃখজনক। আমরা সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।" তিনি আরও জানান, মাওলানা সাদের ভিসা জটিলতা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সংঘর্ষের ঘটনা তার আগে ঘটে যায়।
- পরবর্তী পদক্ষেপ
কাকরাইলের আলেমদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ইজতেমার মতো বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশে এমন সহিংসতা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!