নিজস্ব প্রতিবেদক
অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সংকট নিরসনে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কী উঠে এসেছে সভায়?
সভায় উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়,
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজার এর নকশা চূড়ান্তকরণের কথা জানানো হয়।
ফেনী জেলায় একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
নোয়াখালী জেলার খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলমান উদ্যোগ:
দুই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণ, তীর সংরক্ষণ এবং পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামোর সংস্কার কাজ বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চালু রয়েছে বলেও উপদেষ্টাদের অবহিত করা হয়।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ে আলোচনা:
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়—
বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা এবং স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগের পরবর্তী ধাপে পুনর্বাসন কার্যক্রম ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রস্তুত চলছে।
আলী রীয়াজের মতামত:
পরিষদের একজন সদস্য আলী রীয়াজ বলেন,
“সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলোতে জাতীয় ঐকমত্য জরুরি। বারবার এক এলাকা প্লাবিত হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। টেকসই অবকাঠামো ও সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!