logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - ধর্ম ও জীবন- বদ নজর বাস্তব নাকি কুসংস্কার? বদ নজর থেকে বাঁচার উপায়

বদ নজর বাস্তব নাকি কুসংস্কার? বদ নজর থেকে বাঁচার উপায়

বদ নজর বাস্তব নাকি কুসংস্কার? বদ নজর থেকে বাঁচার উপায় | ছবি সংগ্রহীত

মানুষের মনে অন্যের সাফল্য দেখে যে নেতিবাচক অনুভূতি জন্মায়—ইসলামে তাকে হিংসা বা বদ নজর বলা হয়। কুরআন–হাদিসে বদ নজরকে বাস্তব এক ক্ষতিকর প্রভাব হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এর থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দোয়া শেখানো হয়েছে।


মানুষ স্বভাবতই সামাজিক জীব। সমাজে চলার পথে আমরা একে অন্যের সুখ-সমৃদ্ধি দেখি। কখনো এ দেখে মনে ভালো অনুভূতি জাগে, আবার কখনো বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি হতে পারে। ইসলামে এ ধরনের অনুভূতিকে দুই ভাগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে—ঈর্ষা (গিবতা) ও হিংসা (হাসাদ)।


আরও পড়ুন

দুষ্ট জিনের আছর থেকে বাঁচার দোয়া ও করণীয়

দুষ্ট জিনের আছর থেকে বাঁচার দোয়া ও করণীয়   | ছবি সংগ্রহীত

ঈর্ষা কী

কেউ অন্যের ভালো দেখে নিজেও ভালো হওয়ার অনুপ্রেরণা পেলে তা ঈর্ষা বা গিবতা হিসেবে বিবেচিত হয়—যা স্বাভাবিক ও নন্দনীয়।


হিংসা কী

অন্যের উন্নতি দেখে মন খারাপ হওয়া, তার ক্ষতি কামনা করা বা বদ নজর দেওয়া—এসবই হিংসার অন্তর্ভুক্ত। এটি আত্মাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কুরআনে বলা হয়েছে—
‘তোমাদের আক্রোশেই তোমরা মরো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১৯)

নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন—
“হিংসা নেক আমলকে এমনভাবে নষ্ট করে, যেমন আগুন কাঠকে পুড়িয়ে দেয়।” (আবু দাউদ: ৪৯০৩)


বদ নজরের বাস্তব প্রভাব

ইসলামি শিক্ষায় বদ নজরকে বাস্তব এক বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মানুষের অর্জন, সৌন্দর্য বা সুখ দেখে কারো মনে বিরূপ অনুভূতি তৈরি হলে তার নেতিবাচক প্রভাব আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর পড়তে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে—

মানসিক অশান্তি

অসুস্থতা

সংসারে অশান্তি

ক্যারিয়ারে বাধা
—এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও দেখা যেতে পারে।

এ কারণেই বদ নজর থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) দোয়া ও সুরা পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন।


বদ নজর থেকে রক্ষার দুই সুরা — মুআওয়িযাতাইন

১. সুরা নাস

মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেওয়া শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া।

আরবি:
কুল আউজু বিরব্বিন নাস…

অর্থ:
আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালক, অধিপতি ও উপাস্যের কাছে—অন্তরে কুমন্ত্রণা দেওয়া জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে।


২. সুরা ফালাক

সব ধরনের অমঙ্গল, অন্ধকার, জাদু ও হিংসুকের ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা।

আরবি:
কুল আউজু বিরব্বিল ফালাক…

অর্থ:
আমি আশ্রয় চাই উষার প্রতিপালকের কাছে—সৃষ্টির অমঙ্গল, অন্ধকার, জাদুকারিণীর অনিষ্ট এবং হিংসুকের ক্ষতি থেকে।


বদ নজর থেকে মুক্তির দোয়া

‎‎হজরত জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-কে বদ নজর থেকে মুক্তির যে দোয়া শিখিয়েছিলেন, তা হলো,‎

‎بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ، بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ

‎উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরকিকা, মিন কুল্লি শাই-ইন ইউযিকা, মিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন, আল্লাহু ইয়াশফিকা, বিসমিল্লাহি আরকিকা।

‎অর্থ: আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি; যা কিছু আপনাকে কষ্ট দেয় এবং হিংসুকের চোখের বদ নজর সবকিছু থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দান করুন। আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। (মুসলিম: ৫৫১২)


এই দোয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে পড়ে ফুঁ দিলে আল্লাহর রহমতে ধীরে ধীরে বদ নজরের প্রভাব দূর হয়ে যায়।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

বদ নজর বাস্তব নাকি কুসংস্কার? বদ নজর থেকে বাঁচার উপায়

মইনুল ইসলাম গাজী, ইসলামিক প্রতিনিধি

image

মানুষের মনে অন্যের সাফল্য দেখে যে নেতিবাচক অনুভূতি জন্মায়—ইসলামে তাকে হিংসা বা বদ নজর বলা হয়। কুরআন–হাদিসে বদ নজরকে বাস্তব এক ক্ষতিকর প্রভাব হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এর থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দোয়া শেখানো হয়েছে।


মানুষ স্বভাবতই সামাজিক জীব। সমাজে চলার পথে আমরা একে অন্যের সুখ-সমৃদ্ধি দেখি। কখনো এ দেখে

মনে ভালো অনুভূতি জাগে, আবার কখনো বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি হতে পারে। ইসলামে এ ধরনের অনুভূতিকে দুই ভাগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে—ঈর্ষা (গিবতা) ও হিংসা (হাসাদ)।