মাসুম পারভেজ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রেমের সম্পর্ক থেকে অনৈতিক সম্পর্ক এক পর্যায়ে বিয়ের দাবিতে ৫ই আগষ্ট রবিবার থেকে ৭ই আগস্ট মঙ্গলবার বাড়িতে অনশনের পরও বিয়ে না করায়, পরবর্তীতে আমীন সৈকতের ভাই গল্লাক বাজারের ফল ব্যবসায়ী ফারুক জানান, আমরা প্রথমে বিষয় টি না মানলেও পরবর্তীতে পারিবারিক ভাবে বিয়ের জন্য মেনে নেই, সেজন্য মেয়েকে তার পরিবার সহ ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা চাঁদপুর জেলার এনসিপি ও জুলাই মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও জরিমানার কথা উল্লেখ করে সমাধান করার কথা জানালে বিয়ের দাবীতে অনড় মেয়ের পরিবার মানে নি উক্ত সমাধান।
পরবর্তীতে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে মামলা (নারী শিশু মামলা-৩৪৭/২০২৫ ) দায়ের করেন জুলাই মঞ্চ নেত্রী। সেই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হিসেবে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার এনসিপির যুগ্ম সম্বয়ন্বয়ক আল আমিন সৈকতকে গ্রেফতার করেছে ফরিদগঞ্জ সেনা বাহিনী ও থানা পুলিশ। বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ পরিচালনায় গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম (পিপিএম) সেবা।
ভুক্তভোগী জুলাই মঞ্চের নেত্রী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার অধিবাসী জুলাই মঞ্চের নেত্রীর সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আল আমিন সৈকতের সাথে দলীয় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে বিয়ের দাবিতে চলতি মাসের ৫ অক্টোবর আল আমিন সৈকতের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জের গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামের অবস্থান নেয়। দুই দিন অনশনের পর জেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতারা এর সমাধানে চেষ্টা করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় গত ২৬ অক্টোবর ওই জুলাই মঞ্চ নেত্রী চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে মামলা (নারী শিশু মামলা-৩৪৭/২০২৫ ) দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতাারি পরোয়ানা জারি করলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় আল আমিন সৈকতকে আটক করে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে আল আমিন সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লগইন
ছবি- সংগৃহীত
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!