চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুরের নেতৃবৃন্দ।
দীপু মনির প্রেতাত্মা ও সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য আসা সরকারি অনুদান আত্মসাৎকারী সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আহসানুল্লাহ্ সহ যারা স্বৈরাচার সরকারের তাবেদারি করেছেন তারা জাতির দুশমন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ।
আজ রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুরের ১ টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে এ আন্দোলন করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বলেন, প্রেসক্লাব একটি গনমানুষের আস্থার প্রতিষ্ঠান বা ঠিকানা। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম এর ধর্ম হচ্ছে তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে দেশ বিদেশে প্রয়োজনীয় সত্যটি তুলে ধরা। আর এরা করেছে বিরোধিতা।
এ প্রেসক্লাব বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে, অনেক ভালো সাংবাদিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যেও বিভিন্ন মত ও পথ থাকতেই পারে কিন্তু কথিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর ভাবমূর্তি ধবংস করে দিয়েছে। এটাকে প্রেসক্লাব না করে আওয়ামী ক্লাব বানিয়ে ফেলেছে।
এরা নাকি জাতির বিবেক। এরা দেশ ও জাতির পালস বুঝেনা। এরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের নিউজগুলো পর্যন্ত করে না।
তারা যদি সঠিকটা সঠিক সময়ে লিখতো বা দেশবাসীকে জানাতো তাহলে সঠিক সময়েই প্রাণগুলো ঝড়ে যাওয়ার পূর্বেই সরকার তার পায়ের তলার মাটির খোঁজ জেনে যেত। তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি বা পরিণতি কারো দেখতে হতো না।
ছাত্ররা কোটা সংস্কার করতে গিয়ে গোটা দেশটাকেই সংস্কার করে উন্নত ও সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন এক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও সু-শাসন প্রতিষ্ঠায় তা আজ মাঠে।
শুধু তা-ই নয়, সারা বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কারীরা ফ্যাসিবাদ খুনি হাসিনার পতনের ডাক দিয়েছেন তখন তারা নির্বিচারে শিক্ষার্থী ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়েছেন সেই সময় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ব্যানার নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিপক্ষে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন, যেটা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক। তাই তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে মানববন্ধনে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর মতো মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত ছিল। তারা আরো বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কিছু সংখ্যক সাংবাদিক, সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকাণ্ড ছিল নিজেদেন স্বার্থ ও রাষ্ট্রবিরোধী। ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এখন জাতীর দুশমনরা প্রেসক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে। সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো।
মানববন্ধন শেষ করে ছাত্ররা প্রেসক্লাবের দিকে অগ্রসর হলে প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক আলোকিত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন, সাংবাদিক ইলিয়াস, সাংবাদিক জামান,সাংবাদিক এইচ এম আরিফ হোসেন সহ আরো কয়েকজন সংবাদ কর্মী ছাত্রদেরকে প্রেসক্লাব ভাঙচুর না করার জন্য অনুরোধ জানালে এখন তারা আর ভাঙচুর করেনি ।
তারা তখন প্রেসক্লাবে লাগানো শেখ হাসিনা ও দীপু মনির পলক কালো কালি দিয়ে মুছে দেন এবং দেওয়ালে কালি দিয়ে লিখেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ চাই।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!