রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আসিফ হাওলাদার তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রোববার রাতে সংঘর্ষে আহত হওয়া ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় বলে জানিয়েছেন মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী এবং আনসার সদস্য উভয়ই রয়েছেন এবং তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহও আছেন।
সংঘর্ষটি রোববার রাত ৯টার পর সচিবালয় এলাকায় ঘটে। রাত পৌনে ১০টার দিকে আনসার সদস্যরা পিছু হটেন, আর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের পাশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। পরে আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা ছেড়ে চলে যান। এ সময় কয়েকজন আনসার সদস্য সচিবালয়ের ভিতরে ও বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েন। শিক্ষার্থীদের প্রহরায় তাঁরা নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন আনসার সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও চাকরি জাতীয়করণ করা হয়নি। দাবির সমর্থনে রবিবার দুপুর ১২টার পর থেকে সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা, যার ফলে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারছিলেন না।
সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে তখন, যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে আনসার সদস্যদের একদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম, এবং হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে সচিবালয়ে আটকে রেখেছেন। এই খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যান এবং সেখানে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!