কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ মিয়া কাওছারের উপর ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মারুফ শেখের সঞ্চালনায় সোমবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সকাল ১১ টায় মানববন্ধন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি করেন। প্রশাসনকে দ্রুত বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণের দাবি জানান। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে গভীর রাতে সংগঠিত বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জনান।
হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অংশগ্রহণকারী সোয়াইব হোসাইন আলামিন বলেন, " গতকাল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমার জুনিয়র ফরহাদ কাওসারের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। হামলাকারী রাফির ছাত্রত্ব নেই। অবৈধভাবে হলে রয়েছে। প্রশাসন যেন দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।"
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আসমা ইসলাম বলেন,
“ সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে, এতে দোষ কোথায়? আমাদের বিভাগের যে জুনিয়র শিক্ষার্থী ফরহাদ কাওছারের উপর হামলা করা হয়েছে। এটা খুবই নিন্দনীয়। প্রশাসন যেন দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”
বিল্লাল হোসেন স্বাধীন বলেন, " ফরহাদের উপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ক্যাম্পাসে বহিষ্কার করতে হবে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব। আমাদের বিভাগের যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।"
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী এম. আনিছুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, " আমি গতকাল বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি ফরহাদ অসংলগ্ন কিছু করেনি। বেআইনিভাবে ফোন চেক করা এবং মারধরের মাধ্যমে দুইটি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। আমি উপাচার্য এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সাথে কথা হয়েছে। তাঁরা আমাকে বিচারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। "
উল্লেখ্য, সোমবার (১৫, জুলাই) রাত আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফরহাদ কাউসার শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসলে হলে আসার পথে ৮ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার ফোন চ্যাক করে এবং তাকে মারধর করে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!