কিশোরগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শহরের রথখোলা এলাকায় এই সংঘর্ষের সূচনা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে। শত শত আন্দোলনকারী পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ফলে শুরু হয় দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলা। এ সময় হামলাকারীরা পুরান থানি পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। দুপুর ২টায় পুরানথানা এলাকায় রেললাইন অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয় এবং এলাকায় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
দফায় দফায় সংঘর্ষে কিশোরগঞ্জ শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!