হার্ট অ্যাটাক কি?
হার্ট অ্যাটাক, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়, হৃৎপিণ্ডের একটি জরুরী অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। কোরোনারি ধমনীতে রক্ত জমাট বা বাধা সৃষ্টি হলে এটি ঘটে, যা হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করে। রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে, হৃৎপিণ্ডের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মারা যেতে পারে।
কোন বয়সে হার্ট অ্যাটাক হয়?
সাধারণত, বয়স্ক মানুষ ও পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে নারীরাও বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। ধূমপানকারী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, এবং রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে এমন লোকেদের ঝুঁকিও বেশি থাকে।
লক্ষণসমূহ:
বুকের মাঝখানে বা বাম পাশে তীব্র ব্যথা
বুকে ভার, চাপ বা আঁটসাঁট অনুভূতি
বাম হাত, ঘাড়, চোয়াল, বা বুকের পেছনে ব্যথা
পেটের উপরিভাগে ব্যথা
অতিরিক্ত ঘাম
শ্বাসকষ্ট
বমি বমি ভাব বা বমি
মাথা ঝিমঝিম করা
জ্ঞান হারানো
করণীয়:
বুকে ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যান।
ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা করে হার্ট অ্যাটাক নিশ্চিত করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
চিকিৎসা:
রক্তনালিতে রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করা প্রধান চিকিৎসা।
অ্যানজিওগ্রামের মাধ্যমে ব্লক সনাক্ত করে অপসারণ করা হয়।
বিকল্পভাবে, ওষুধ ব্যবহার করে রক্ত জমাট ভেঙে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়।
জটিলতা:
স্বল্পমেয়াদী: হঠাৎ মৃত্যু, হার্টবিট কমে যাওয়া, হার্ট ফেইলিওর, কার্ডিওজনিক শক
দীর্ঘমেয়াদী: হৃদরোগ, দুর্বলতা
প্রতিরোধ:
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: ধূমপান ত্যাগ, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, নিয়মিত ব্যায়াম, ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা, মানসিক চাপ কমানো
নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা
স্বাস্থ্য সচেতনতা
হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করে এবং চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
প্রতিরোধই সর্বোত্তম পন্থা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!