পরিচিতি:-
1. টিউবার কুলিনাম বোভিনাম তৈরি করা হইয়াছে যক্ষ্মাগ্রস্থ ব্যক্তির কফ থেকে, তৈরি করেছেন ডা.সোয়ান।
2. ব্যাসিলিনাম তৈরি করা হইয়াছে যক্ষ্মাগ্রস্থ ব্যক্তির ফুসফুসের টিসু থেকে, তৈরি করেছেন ডা. বার্ণেট।
3. ডা. কক কৃত্রিম উপায়ে গরুর মাংসের জেলিতে যক্ষ্মার জীবাণু আবাদ করেন, তার নাম ককের লিম্ফ।
আকৃতি:-
1. গৌরবর্ণ, নীল চক্ষু, কালো অপেক্ষা কিছুটা ফর্সা মত, লম্বা, পাতলা, চ্যাপ্টা, বক্ষদেশ অপ্রশস্ত, চটপটে, মনের দিক থেকে পরিণত কিন্তু শারীরিক ভাবে দূর্বল, যক্ষ্মাসম্ভব ধাতু ব্যক্তি।
2. লম্বা, কৃশ যুবক যুবতী, বক্ষস্থলটি সরু- কবুতরের বুকের ন্যায়, সম্ভবত পিতা মাতার দেহ হইতে রোগ প্রবণতাটি প্রাপ্ত হইয়াছে।
মানসিক লক্ষণ:- বিষণ, হতাশ, দুঃখিত, উত্তেজনা প্রবণ, ক্রোধী, স্বল্পভাষী, খিটখিটে, একগুঁয়ে কিন্তু স্বভাবে মধুর প্রকৃতির। দুর্ভাবনাগ্রস্থ, কাজে অনিচ্ছা, উম্মাদভাব, বুদ্ধিবৃত্তির প্রখরতা অথবা খর্বতা, সাপ, বিড়াল ও কুকুর ভীতি, এরা বিড়ালকে ঘৃণা করে, বিড়ালে এদের এলার্জি হতে পারে। শপথ করিবার, অভিসম্পাত করিবার প্রবৃত্তি। মানসিক ভাবে রোগী খুব সতর্ক, শারীরিক ভাবে দুর্বল, খুব ভীরু, বিশেষ করে যখন সে ঘুম থেকে উঠে। রোগীর মধ্যে পরস্পর বিরোধ ভাবের সমন্বয় ঘটে। একদিকে সদানন্দ স্ফূর্তিবাজ, অন্যদিকে হতাশ, বিষণœ। একদিকে মধুর চরিত্রের অন্যদিকে ভীরু খিটখিটে। এই ধরণের পরস্পর বিরোধে ভরা মন মানসিকতা। বিশ্ব নাগরিক, বিশ্ব শান্তি প্রিয়, পরিবর্তনশীলতা। এই ওষুধের রোগীর সহজে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা, কোথা থেকে কিভাবে যে ঠান্ডা লাগে রোগী তা বুঝিতেও পারে না, মোটকথা ঠান্ডা লাগিবার স্বভাব তার, রোগের পরিবর্তনশীলতা, এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে রোগ স্থানান্তরিত হয়। তার মনও দ্রুত পরিবর্তন হয়, সেজন্যে সে বারে বারে ডাক্তার ও চিকিৎসা বদলায়, সে একভাবে লাগিয়া থাকিতে পারে না, এক কাজ শুরু করিতে না করিতেই তা পরিবর্তন করিয়া অন্য কাজে যোগ দিবে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সেই কাজ বাদ দিয়ে অন্য নতুন কাজ অন্বেষণ করিবে। তাহাদের অবিরত স্থান পরিবর্তন করিবার, দেশ ভ্রমণ করিবার, নতুন কিছু করিবার প্রবৃত্তি জন্মে। কোন কিছু মনে রাখিতে পারে না, কোন কিছুতে মনও বসাইতে পারে না, একটা বাক্য বা একটা পড়া দুইবার না পড়িলে বুঝে না। এরা জীবনকে খুবই ‘স্বল্প মেয়াদী’ মনে করে, মনে করে ‘ঞরসব রং াবৎু ংযড়ৎঃ’। এজন্য জীবনকে দ্রুত উপভোগ করতে চায়। স্বার্থপর, নিজের শক্তিকে সংরক্ষণ করতে জানে না, সব কিছুই অপচয় করে। পাড়ায় আজকাল অনেক রংবাজ উঠতি বয়সের ছেলেকে দেখবেন মোটরসাইকেলটা স্পীডে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরা দ্রুতই ফেনসিডিলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ে, মাস্তানী করে। পুরো জীবনটাকে যেনো কিছুদিনের মধ্যেই উপভোগ করে শেষ করে দিতে চায়। যৌনআকাংখার দিক দিয়েও এরা প্লেবয় টাইফের মানুষ, আপনার পাড়ার এই ভবঘুরে ছেলেটাকে টিউব দিয়ে অনিবার্য ধ্বংসের দ্বাপপ্রান্ত থেকে বাঁচাতে পারবেন। অসুখের সঙ্গে লাইফস্টাইল খুজুন। নিজের আনন্দের জন্য বেপরোয়া জীবন যাপন করে, এরা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম মানতেই চায় না, এদের সমাজ বিরোধী না বললেও প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে চলে যায় এদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। বিপদজনক খেলাধুলায়, যেগুলোতে হাই রিস্ক থাকে সেখানে এদের নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়।
টিউবারকুলিনাম হল অস্থির প্রকৃতির ও বিদ্বেষপরায়ন শিশু। এটা ধরে, ওটা ধরে, অনর্থক আছাড় দিয়ে জিনিসপত্র ভাঙে, নিষেধ করলে শোনে না। সে খুঁজে দেখবে, আপনার কাছে সবথেকে প্রিয় বস্তু বা দামি বস্তু কোনটি। সুযোগ বুঝে সে সেটিকে নষ্ট করে তবেই শান্ত হবে। এরা অবাধ্য, বাধা দিলে ভীষণ রাগ করে, দয়া-মায়া কম, বাবা-মা, ভাই-বোনকে মারে, যাকে পায় তাকে মারে, ডা. পিয়ার স্মিত বলেন, “ আমি যদি দেখি যে, ছোট ছোট বাচ্চারা বাবা মাকে ঘুসি মারছে তখন আমি টিউবারকুলিনাম ছাড়া অন্য কোন ওষুধ ভাবতে পারি না”। আপনার ‘যাত্রা ভঙ্গ’ করতে সে আর কিছু না পেয়ে কান্নাকাটি চ্যাচামেচি শুরু করে দেবে। সে কী করবে তা আপনি জানেন না। এরা কোন প্রকার চাপ সহ্য করতে পারে না, সেটা বাবা-মায়ের আদেশ নির্দেশ হোক বা সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্মের কোন বিধি নিষেধই হোক। মা বাবার কাছে সে কথা দেবে এমন আর করবো না। কিন্তু তা সে পারবেই না। বাবা-মাকে সব সময়ই জ¦ালাতন করবে। পরিবারের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘœ ঘটাবে। টিউবারকুলিনামের শিশুরা প্রকৃতই বদ স্বভাবের হয়। যে কোন বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয়, সতর্ক, সৃজনশীল (আঁকা, গান করা, গাড়ি চালানো, বাচ্চারা খেলনাগুলো ভেঙ্গে দেখতে চায় ভিতরে কি আছে) এবং তীক্ষ্ম বুদ্ধি সম্পন্ন। অত্যন্ত ব্যস্তবাগীশ; খাওয়া, চলাফেরা, কাজকর্ম অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করিতে চাহে, বাচাল। বেপরোয়া ভাব, পাগলের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে অথবা পাগল হওয়ার উপক্রম হতে পারে। অনেক পাগলকে হত্যার জন্য বা আত্মহত্যার জন্য দৌড়াতে দেখা যায়, হাঁটছে স্বাভাবিক ভাবে হঠাৎ করেই দৌড় দিল।আমাদের পূর্বসূরীদের মতানুযায়ী এই ওষুধটির প্রথম শর্ত রোগীর ক্ষেত্রে যেইখানে সুনির্বাচিত ওষুধ বারবার ব্যর্থ হইতেছে সেইখানে তোমরা এই ওষুধের কথা চিন্তা করিবে। কিন্তু এইরুপ ক্ষেত্রে ওষুধটি প্রয়োগ করিতে হইবে তার সঠিক নির্দেশ আমাদেরকে দেননি। এই মতামতটি যদি সত্য হয় তাহা হইলে আমরা কি সর্ব রোগের সর্ব ক্ষেত্রে যখনই পুনঃ পুনঃ ওষুধ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হইবো তখনই কেবল এ ওষুধটির কথা চিন্তা করিবো। তাই যদি হয় তাহলে সালফার সোরিনাম ও মেডোরিনামের কথা চিন্তা করিবো কখন ও কোথায়? আমাদের জানিতে হইবে যখন সুনির্বাচিত ঔষধ বারবার ব্যর্থ হইতেছে তখন রোগীর মধ্যে এমন কোন্ লক্ষণ পেলে আমরা সালফার, সোরিনাম, মেডোরিনাম ও টিউবারকুলিনাম প্রেসক্রিপশান করিবো।
টিউবারকুলিনাম সম্বন্ধে চিন্তা করিতে হইলে: আমাদেরকে সর্বপ্রথম জানিতে হইবে রোগীর মধ্যে কিংবা রোগীর বংশে জাগ্রত অথবা সুপ্ত অবস্থায় টিউবারকুলার মায়াজম বিদ্যমান ছিল বা আছে কিনা! যেখানে সুনির্বাচিত ওষুধ বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইতেছে, সেখানে যদি আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানিতে পারি রোগীর অথবা রোগীর বংশে টিউবারকুলার মায়াজম সুপ্ত অথবা জাগ্রত অবস্থায় বিদ্যমান ছিল বা আছে, কেবল সেখানেই টিউবারকুলিনামের কথা চিন্তা করিতে পারি। টিউবারকুলার মায়াজম খুঁজিতে গিয়ে আমরা রোগী ও রোগীর বংশে কি কি রোগ বা রোগজাত লক্ষণ পাইতে সক্ষম হইবো তা জানা, আমরা যদি রোগীর বংশে পাই কার্বঙ্কল জাতীয় ফোঁড়া, দাদ, একজিমা, যন্ত্রণাবিহীন স্বরভঙ্গ, টি.বি., অর্শ, ভগন্দর, উম্মাদ, বহুমূত্র, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, জন্ডিস, গ্ল্যান্ডের বিবৃদ্ধি, ক্যান্সার, ক্ষয়জাতীয় রোগ, গ্রহণী, সূতিকা, উদরী, শুষ্ক জাতীয় হাঁপানী, দৈহিক শুষ্কতা, মেরুমজ্জার ক্ষয় পীড়া, শয্যাক্ষত, যন্ত্রণা বিহীন অন্ধত্ব, অন্ত্রের অবরোধ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্র¯্রাবের সহিত যে কোনও প্রকার পদার্থ বা অসাড়ে ধাতু নির্গমন, শৈশবকালীন অসাড়ে শয্যামুত্র, ক্রিমি, নিউমোনিয়া, যে কোন স্থানের ক্যান্সার, গাল গলা ও স্তন মধ্যে স্থায়ীভাবে গ্রন্থিস্ফীতি, পাকস্থলী বা অন্ত্রের ক্ষত, টিউবারকুলার মেনিঞ্জাইটিস, ম্যালেরিয়া, প্রসবকালীন মূর্ছা ও প্রসবান্তিক উন্মাদ পীড়া ইত্যাদি ছিল বা আছে। তাছাড়া রোগীর ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি লক্ষ্য রেখে আমরা যদি পাই রোগী উল্লেখিত রোগগুলির মধ্যে যে কোন একটি বা একাধিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং অধিক সংখ্যক বা সম সংখ্যক ভাইবোন ছোটবেলায় বিভিন্ন রোগে মারা গিয়াছে। অতি তুচ্ছ কারণে রোগী বারবার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হইয়াছে, অথবা রোগ থেকে রোগান্তরে ভূগিতেছে রোগীর মন, দেহ ও রোগের পরিবর্তনশীলতা বিদ্যমান ছিল বা আছে কিনা, যদি এই রোগ বা রোগের লক্ষণগুলির কিয়দাংশ রোগীর বংশে বা রোগীর মধ্যে পাই তাহলে এইরুপ ক্ষেত্রে সুনির্বাচিত ওষুধের ব্যর্থতায় আমরা অবশ্যই টিউবারকুলিনাম দেব।
টিউবারকুলিনামই পারে টিউবারকুলোসিস ও টিউবারকুলার মায়াজম দ্বারা সৃষ্টি হওয়া জিনের ভয়ংকর ত্রুটিপূর্ণ পরিস্থিতিকে সারিয়ে তুলতে। ব্যাসিলিনাম শিশুরোগে ও শৈশবের কষ্টে বেশি কাজ করে।
এবার ধরা যাক সালফারের কথা: সালফার প্রয়োগের পূর্বে জানিয়া নিতে হইবে সালফার জাতক কোন চর্মরোগে আক্রান্ত হইয়াছিল এবং তা কুচিকিৎসার ফলে অবরুদ্ধ আছে কিনা। কোন সময়ে সালফারজাত কোন রোগে রোগী আক্রান্ত হইয়াছিল কিনা। সুনির্বাচিত ওষুধ রোগীর দেহ ও মনে সালফারের বিশেষ বিশেষ লক্ষণের কোন লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা, যেমন রোগীর দেহের তুলনায় হাতের তালু, পায়ের তলা ও মাথার তালু গরম। সকালের দিকে পাতলা মল ত্যাগের প্রবণতা। প্রচুর পিপাসা বা পিপাসাহীন, বেলা ১০/১১টায় ক্ষুধা, ক্ষুধার সময় খেতে না পারিলে পেট জ্বালা ও দূর্বলতা, দুুধ সহ্য হয় না। অপরিস্কার, গরমকাতর, গোছলে বৃদ্ধি থাকে তাহলে আমরা সুনির্বাচিত ওষুধ ব্যর্থ হলে সালফার প্রয়োগ করিবো।
সোরিনাম: সুনির্বাচিত ওষুধের ব্যর্থতায় সোরিনামের কথা চিন্তা করিতে হইলে জানিতে হইবে রোগী জীবনে কোন সময় সোরিনামজাত রোগে আক্রান্ত হইয়াছিল কিনা, কিংবা চর্মরোগ কুচিকিৎসার ফলে অবরুদ্ধ আছে কিনা। বিষণœ, প্রচন্ড ক্ষুধা, শীতার্ততা, দূর্গন্ধ, পুনঃ পুনঃ রোগ বা রোগ ভোগের পর ইত্যাদি লক্ষণ সমুহের কিছু কিছু লক্ষণ রোগীর বর্তমান লক্ষণসমুহের মধ্যে যদি অবস্থান করে তাহলে এরুপ ক্ষেত্রে আমরা সোরিনামের কথা চিন্তা করিতে পারি।
মেডোরিনামের কথা: রোগীর মধ্যে মেডোরিনামের হ্রাস বৃদ্ধি সার্বদৈহিক ও মানসিক লক্ষণ সমুহের কিয়দাংশ বর্তমান থাকে, যেমন রোগী রোগ বর্ণনাকালে কাঁদে, আরোগ্য সম্বন্ধে হতাশ ভাব, মৃত্যু ভয়, অন্ধকার ভীতি, স্মৃতি শক্তিহীনতা। হাত-পা, মাথা জ্বালা; প্রবল পিপাসা, গরম সহ্য হয় না, গোছল না করিয়া থাকিতে পারে না, গোছল করিলে স্বস্তি বোধ করে ইত্যাদি লক্ষণ সমুহের কিছু না কিছু লক্ষণ থাকে তাহলে উপযুক্ত ওষুধের ব্যর্থতায় আমরা মেডোরিনামের কথা চিন্তা করিবো। এই ওষুধের ইচ্ছা অনিচ্ছায় আমরা দেখিতে পাই প্রবল ক্ষুধার সঙ্গে প্রচুর খায় দায় তথাপি শিশুরা শুকিয়ে যায়, বয়স্কদের মধ্যে ক্ষুধা বিদ্যমান থাকে, খাদ্যের মধ্যে লবনাক্ত ও চর্বিযুক্ত মাংস, শুকরের মাংস, মিষ্টান্ন দ্রব্য, ঠান্ডা দুধ ও ¯িœগ্ধকর খাদ্য ভালোবাসে। মাংস খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকিলেও সময় সময় মাংসে অনিচ্ছা দেখা যায়। ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও খাদ্য বস্তুতে অনীহা দেখা দেয়।
বিশেষ নির্দেশক:-
1. ডা. এলেন বলেন- টিউবারকুলিনাম ওষুধটির কোন বিশেষ লক্ষণ নাই। ওষুধটি প্রয়োগের জন্য মানুষটাকে চিনতে হয়।
2. জীবনীশক্তির দুর্বলতা এবং গভীর মূল প্রবণতার জন্য সুনির্বাচিত ওষুধ চলার মধ্যে স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়া অব্যাহত থাকিতে পারে, সেইখানে বুঝিতে হইবে সুনির্বাচিত ওষুধ ব্যর্থ হইয়াছে, এরুপ ক্ষেত্রে টিউবারকুলিনাম প্রায় কাজে আসে। এইসব রোগীতে যক্ষ্মা রোগের কোন লক্ষণই দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু যক্ষ্মার প্রবণতা। সোরার সঙ্গে সাইকোসিস বা সিফিলিস দোষ যোগ হলে টিউবারকুলার মায়াজমের জন্ম হয়।
3. দুষ্ট প্রকৃতির সবিরাম জ¦র যখন বারবার নতুন করে দেখা দেয় তখন টিউবারকুলিনাম বভিনামই একমাত্র ঔষধ।
4. শিশুদের বা ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিস বা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া যখন গলায় ঘড়ঘড়ানি শব্দ ও বুকে রেলস শব্দ, ঘাম, কাশি ও শ^াসকষ্ট থাকে তখন এই ঔষধ মন্ত্রের মত কাজ করে। ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এ ঔষধের কয়েক মাত্রা পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করতে হয়। এক মাত্রা দিয়ে বসে থাকলে চলবে না।
5. যে সব শিশু বা ছেলে-মেয়েরা বা যুবক-যুবতীরা স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া সত্ত্বেও দিন দিন ক্রমাগত ক্রণিক শীর্ণতা বা শুষ্কতায় ভোগে, সে ক্ষেত্রে এক বা দুই মাত্রা টিউবারকুলিনামের উচ্চশক্তি প্রয়োগে শীর্ণতার প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়।
6. দুর্দমনীয় ও বহুদিন যাবৎ কানের পুঁজ পড়া ভালো না হলে- এ ঔষধকে একবার স্মরণ করবেন (সিফিলিনাম)।
7. বিভিন্ন প্রকারের শিরঃপীড়ায় যখন লক্ষণানুসারে ঔষধ প্রয়োগ করেও আরোগ্য হয় না, তখন অবশ্যই টিউবারকুলিনাম বভিনামকে একবার স্মরণ করবেন। কারণ বিভিন্ন প্রকার শিরঃপীড়ায় এ ঔষধের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
8. স্ত্রীলোকের স্তনের টিউমারে ফাইটোলাক্কা ও টিউবারকুলিনাম এই দুটি ঔষধকে কখনও ভুলবেন না।
9. যাদের নাকে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ছোট ছোট একটির পর একটি ফোঁড়া হয় তাদের ক্ষেত্রে এ ঔষধকে একবার স্মরণ করবেন।
10. এরা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী করে, অপচয় করে, নিজেকে বা অন্যকে নিয়ে সুখী নয়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
11. অযৌক্তিক কথা বলে ও কাজ করে, মুখ খারাপ করে গালি দেয়, যুবক যুবতী বাড়ি থেকে হঠাৎ পালাতে চায়। সব সময় আশাবাদী এবং আত্মবিশ^াসী, যেমন- আমি পারবো, আমার দ্বারা হবে ইত্যাদি।
12. যে সব লোক বসে বসে প্রত্যেক দিন পেশাগত কাজকর্ম করে তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কনকনানি বা থেৎলিয়ে যাওয়ার ন্যায় যন্ত্রণা বা টানিয়ে ধরা ছিন্নকর যন্ত্রণা বা নি¤œাঙ্গের অসাড়তা বোধ থাকে তাদের ক্ষেত্রে টিউবারকুলিনামই আরোগ্যকর ওষুধ।
13. আঙ্গুলের নখগুলো চকচকে, ঘাড়ের নীচে চুল জন্মে, এগুলো ওষুধ নির্বাচনে অব্যর্থের মত কাজ করে।
14. চর্বি, ঝাল, ঝলসানো মাংস, আইসক্রিম, সুস্বাদু খাবার, লবন, লবনাক্ত, মিষ্টি পছন্দ করে।
ব্যক্তিভিত্তিক লক্ষণ:
1. সমস্ত বড় ওষুধ সমুহের বহু লক্ষণাবলীর সংগে টিউবারকুলিনামের লক্ষণাবলীর এতো বেশি সামঞ্জস্য রয়েছে যে, সালফার প্রয়োগের পর ব্যর্থতায় বা সুফল না পাওয়া গেলে, লক্ষণ সাদৃশ্যে টিউবারকুলিনাম প্রয়োগের পর ব্যর্থতায় বা সুফল না পাওয়া গেলে লক্ষণ সাদৃশ্যে টিউবারকুলিনাম প্রয়োগ করা যেতে পারে। এদের শিশুরা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দ্রুত, বাড়ন্ত প্রকৃতির হয়। এদের অনেক লক্ষণেই এই ‘হঠাৎ’ বা আকস্মিক শব্দটা পাবেন। ইঁচড়ে পাকা ছেলেদের জন্য এই ওষুধটা মাথায় রাখতে হবে। যথাসময়ের পূর্বেই, মানসিক এবং শারীরিক উভয় দিক থেকেই বেড়ে যায়। যেমনটা ক্যালকেরিয়া ফস বা ফসফরাসের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এ ধরণের বাচ্চাদের দুরন্তপনা সামলানো খুব মুস্কিল হয়ে পড়ে।
2. যে খাদ্য খাইলে রোগী সহ্য করিতে পারে না তা বেশী খাইতে চায়, ইহা টিউবারকুলিনামের বড় লক্ষণ। শীতকাতরতা ওষুধটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য। ঠান্ডা বাতাস, ঝড়ো বাতাস ও ঠান্ডা পানিতে গোছল করিলে তার অধিকাংশ কষ্ট দেখা দেয় ও বৃদ্ধি পায়। কোনরুপ ঠান্ডা সহ্য করিতে পারে না, অল্প ঠান্ডায় সর্দি লাগে, সর্দি সহজে সারিতে চায় না, শত সতর্কতার মধ্যেও রোগী সর্দি লাগার হাত থেকে রেহাই পায় না। কোনরুপ ঠান্ডা সহ্য করিতে পারে না, তথাপি সে মুক্ত বাতাস পছন্দ করে এবং মুক্ত বাতাসে সে ভালো বোধ করে। দুধে এলার্জি, কিন্তু ঠান্ডা দুধ পছন্দ। দেহের তুলনায় পা দুইটি ঠান্ডা থাকে। বিভিন্ন রোগের সঙ্গে গ্রন্থিস্ফীতি ও শীর্ণতা প্রকাশ পায়।
3. হুপিং কাশি, হাম, নিউমোনিয়ার ইতিহাস পেলেও টিউব প্রয়োগ করা উচিত, প্রি-টিউবারকুলার অবস্থার নানা অসুখ যেমন পুনঃ পুনঃ বিকশিত জ¦র, মাইগ্রেন, উদরাময় প্রভৃতি অসুখগুলোতেও টিউব ব্যবহার্য। এরা আবার ধ্বংসাত্মক কাজেও নিয়োজিত থাকতে পারে।
4. সময় সময় জ্বর দেখা দিবার পূর্বে রোগীর হাত পা ঠান্ডা ও কাশি দেখা দেয়। কাশি দেখেই রোগী বুঝিতে পারে জ্বর আসিবে, জ¦র যত বাড়ে, কাশিও তত বাড়ে। সবিরাম জ্বরে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দিয়ে ব্যবহার হইতে পারে, জ্বরটি ঘুরে ঘুরে আসে, দুর্দমনীয় প্রকৃতির অবিরাম জ্বর। বিকেল ৫টায়, সকাল ১০/১১টায় জ্বর ও সন্ধ্যা ৭টায় জ্বর আসে। অনিয়মিত জ্বর, জ্বরের সময় যেন সন্ধ্যাকালে শীত শীত ভাব, শুইয়া থাকিলে উপশম। জ্বরের সব কয়টি অবস্থায় আবৃত থাকিতে চায়, শীত শীত ভাবের সহিত উত্তাপ। অস্থিরতা ও বাচালতা বাড়ে, ঘর্মাবস্থায় গায়ে কাপড় দিতে চায়। জ¦রের সাথে পিপাসা বা পিপাসাহীনতা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কামড়ানি, এক সন্ধিস্থান থেকে অন্য সন্ধিস্থানে আক্রমণ করে, বিশ্রামে, রাতে ও প্রথম সঞ্চালনে বৃদ্ধি, পরবর্তী সঞ্চালনে ও উত্তাপ প্রয়োগে উপশম (রাস-টক্স)। গভীর ক্রিয় ওষুধ নির্দিষ্ট হইয়া আরোগ্য দিতে পারে না, ভালোভাবে ক্রিয়া করেও আবার কারণে অকারণে ঘুরিয়া আসে। যেমন- সামান্য ঠান্ডা লাগিয়া, প্রবাহমান বাতাসে বসিয়া থাকিলে, বেশী শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ফলে, অতি আহারের ফলে, পাকস্থলীর বিশৃংখলার কারণে জ্বরটি ঘুরিয়া আসে। সাইলিসিয়া ও ক্যালকেরিয়া কার্ব ব্যর্থ হইলে টিউবারকুলিনামের প্রয়োজন হয়।
5. নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার পরবর্তী উপসর্গসমুহের জন্য টিউব বড় ওষুধ।
6. আমাদেরকে মনে রাখা দরকার, রোগী পর্যবেক্ষণ ও কেস রেকর্ডের পর যখন একটি রোগীর মধ্যে ৩/৪টি ওষুধের চিত্র সেখানে অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা যদি রোগীর মধ্যে টিউবারকুলিনামের ২/৪টি লক্ষণ পাই তাহা হইলে সেইখানে প্রথমে টিউবারকুলিনাম প্রেসক্রিপশান করিতে পারি।
7. উল্লেখিত লক্ষণগুলির মধ্যে যদি বাচালতা, শীতকাতরতা, চঞ্চলতা এবং পরিবর্তনশীল মন ও পরিবর্তনশীল রোগ, মাংসে স্পৃহা, কুকুর ভীতি, সর্দির প্রবণতা এবং দাদ ও কৃমির ইতিহাস পাই তাহলে কারণ ভিত্তিক রোগ ছাড়া ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্ত প্রকার রোগে আমরা টিউবারকুলিনাম প্রেসক্রিপশান করিতে পারি ও করিবো। তথাপি রোগ ভিত্তিক যুগে আমরা বাস করতেছি, তাই কিছু কিছু রোগের কথা উল্লেখ না করিয়া লোভ সামলাইতে পারলাম না। প্রথমে ধরা যাক, উম্মাদ রোগে সুনির্বাচিত ওষুধ প্রয়োগ করেও যেইখানে রোগী পরিপূর্ণভাবে আরোগ্য লাভ করিতেছেনা, দীর্ঘ কুড়ি বছরের একটি উম্মাদ রোগীনি পেটের ভিতর সাপ নড়াচড়া করিতেছে এই লক্ষণটির উপর ভিত্তি করে টিউবারকুলিনাম প্রয়োগেরোগীনি সম্পূর্ণ আরোগ্য হইয়া যায়।
8. ভ্রমনশীল বাত ব্যথা:- বর্ষায়, ঠান্ডা জলো বাতাসে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সঞ্চালনশীল বেদনা দেখা দেয়, বেদনা এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে সঞ্চারিত হয়, দাড়ালে ও বিশ্রামে বৃদ্ধি, সঞ্চালনে ও তাপে উপশম। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির গভীরতার কারণে রাস এই অবস্থাকে আয়ত্ব করিতে পারে না, টিউবারকুলিনাম তাদের আরোগ্য করে।
9. ত্বক বা চর্মরোগ:- ঘোর রক্ত বর্ণের চর্ম উদ্ভেদ, বেগুনী চর্ম উদ্ভেদের সঙ্গে পিঁঁপড়া হাটার ন্যায় অনুভূতি, শীতল বাতাসে বৃদ্ধি, রাতে কাপড় ছাড়িলে বৃদ্ধি, গোছলে বৃদ্ধি, রোগী সর্বদা আগুনের ধারে বসিয়া থাকিতে চায়। বিভিন্ন রকম চর্মরোগ যেমন- রিং ওয়ার্ম, সোরাইসিস, ক্রণিক একজিমা, সমস্ত প্রকার ফাঙ্গাল ইনফেকশন, শে^তি ইত্যাদি চর্মরোগের ক্ষেত্রে ব্যাসিলিনাম অত্যন্ত কার্যকর। ভয়ানক চুলকানি , আঁশ উঠে। একজিমা সাধারণত কানের পশ্চাতে চুলের ভিতর, চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে বেশি হয়। চর্মরোগ গরম সেঁকে উপশম। ঝাঁকে ঝাঁকে ফোঁড়া উঠে এবং ফোঁড়ার মধ্যে ব্যথা থাকে।
10. টনসিল প্রদাহ, গ্ল্যান্ড টিবি:- খুব ঘন ঘন টনসিল প্রদাহের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ। গ্ল্যান্ড টিবিতে ভালে কাজ করে থাকে। কানের গোড়ায় বা ঘাড়ের পিছনে ছোট ছোট অনেকগুলো গ্ল্যান্ড ফুলে অনেক সময় টিউমারের মত দেখায় কিন্তু সহজে পাকে না, খাওয়ার রুচি থাকে না, রাতে অল্প অল্প জ¦র হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এডিনয়েড এবং ঘাড়ের টিউবারকুলার গ্ল্যান্ডের স্ফীতি বা প্রদাহ ভালো করে।
11. অনিয়মিত ঋতু¯্রাব:- মাসিক নিয়মিত করণের ক্ষেত্রে টিউবার বিশেষ ভাবে কাজ করে, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বা পরে, মাসের পর মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তার সাথে থাকে ভয়ানক যন্ত্রণা। অতি প্রচুর, অতিশয় দীর্ঘকাল স্থায়ী, ¯্রাবের আরম্ভ ধীরে ধীরে হয়। যদি মহিলাটি রোগা পটকা চেহারা, হাড় বেরিয়ে যাচ্ছে এমন হয়, ঘন ঘন সর্দি লাগার প্রবণতা থাকে, ক্ষুধা কম। যক্ষ্মা রোগের ইতিহাস যুক্ত রোগীনি, স্রাবের দাগ উঠে না। অন্যের গোপন কথা ফাঁস করে দেওয়া ব্যক্তি, ঘাড়ে ফাঁটা দাগ থাকে, তখন যে কেহই টিউবারকুলিনাম স্মরণ করিতে পারেন।
12. সন্ধ্যাকালে ও ঋতু আরম্ভের সময় স্তনে ব্যথা।
13. নির্লজ্জ, যৌন ইচ্ছা বেশী, একাধিক জনের সাথে সম্পর্ক করে, যৌন আকাংখা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পূর্ণ করে।
14. ঘাম:- নিদ্রান্তে মাথায় ও দেহে প্রচুর ঘাম দেখা দেয়, কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে। প্রচন্ড শীতকাতর, আগুনের ধারে বসে থাকতে হয়।
15. মাথা ব্যথা:- প্রচন্ড মাথা ব্যথা, ডান চোখ হতে মাথার পেছন দিক অবধি কেটে ফেলার মতো যন্ত্রণা, মাথা ব্যথা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে, ডান দিকে বেশী হয়, মনে হয় মাথা লোহার পাত দ্বারা বাঁধা আছে। আদ্র আবহাওয়ায়, অতি পরিশ্রমে ও চোখের পরিশ্রমে, উত্তেজনায়, অতি ভোজনে, পাকস্থলীর গোলযোগে ও অধ্যয়নরত ছেলে মেয়েদের মাথা ব্যথা। বারবার চশমা পরিবর্তন করেও চোখের যন্ত্রণা ও মাথা ব্যথার উপশম হয় না। অতি পুরাতন, অতি প্রবল, সর্বক্ষণ মাথা ব্যথা। সবচেয়ে তীব্র এবং সবচেয়ে পুরানো অসুস্থ মাথা ব্যথা, ¯œায়বিক মাথা ব্যথা, লক্ষণ সদৃশ হলে টিউবারকুলার পর্যায়শীল মাথা ব্যথা আরোগ্য করিতে পারে।
16. সূক্ষ্ম কাজে চোখের ব্যবহারে যখন চশমাতে দৃষ্টিশক্তির কোন উপকার হয় না এবং সে সাথে যক্ষ্মা রোগের ইতিহাস থাকলে উপযোগী।
17. মল:- সকালে মলত্যাগের বেগ দেখা দেয়, মল বিভিন্ন রঙ্গের, মলবেগে শয্যা ত্যাগ, পাতলা দূর্গন্ধযুক্ত মল সবেগে নির্গত হয়, অথবা কোষ্ঠবদ্ধের সঙ্গে গুটিগুটি মল অথবা বৃহৎ ন্যাড় দেখাদেয়। টিউবারের বলিষ্ঠ লক্ষণ হইতেছে কোষ্ঠকাঠিন্য। মলের পরিমান বেশি এবং শক্ত, তারপর ডায়রিয়া।
18. স্বপ্ন:- সাপের ও কুকুরের, ভীতিজনক স্বপ্ন, মৃত ব্যক্তির, কষ্টদায়ক, লজ্জাজনক, বুকচাপা স্বপ্ন।
বৃদ্ধি:- সঞ্চালনে, সঙ্গীতে, ঝড়ের পূর্বে, দাড়িয়ে থাকলে, আদ্র আবহাওয়ায়, বাতাসের ঝাপটায়, অতি প্রত্যুষে ও নিদ্রার পর। প্রতি ২১ দিন পর পর।
হ্রাস:-খোলা বাতাসে, বিছানায় শুইলে, ব্যথা চলাফেরায় ও তাপে চর্মরোগের উপশম।
অদ্ভূত, অসাধারণ, বিরল লক্ষণ:-
১. আহার মাত্রই বমি, বিরল লক্ষণ- অহঃরস ঞধৎঃ.
২. চর্মরোগ আগুনের তাপে উপশম, বিরল লক্ষণ- জঁসবী.
৩. যেসব খাদ্য খাইলে রোগীর ক্ষতি হয় তাহাই খাইতে চায়, অদ্ভূত লক্ষণ।
কৃমি, যক্ষ্মা ও উম্মাদ সম্পর্কে সতর্ক (২১৩)
নোট-১: শুষ্ক আবহাওয়ায় অর্থাৎ শীতের দিনে বৃদ্ধি প্রাপ্ত অবস্থায় টিউবারকুলিনাম এবং বর্ষাকালে বা ভিজা আবহাওয়ায় আবির্ভূত লক্ষণে ব্যাসিলিনাম খুব ভালো কাজ করে।
নোট-২: ক্ষয়রোগের বর্ধিত অবস্থায় কেলিকার্ব, হিপার, ফসফরাস, সালফার, সাইলেসিয়া, টিউবারকুলিনাম ইত্যাদি ওষুধ ২০০ শক্তির উপর ব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই ক্ষেত্রে ৫০ সহ¯্রতমিক ওষুধ ব্যবহার অনেকটা নিরাপদ।
সারসংক্ষেপ: চঞ্চল, বাঁচাল, রোগ ও মনের পরিবর্তনশীলতা, পর্যায়ক্রমে শারীরিক এবং মানসিক অশান্তি, সর্দি লাগার প্রবণতা, কৃমি, দাদ, বংশে ক্ষয়দোষ ও অধিক ভাইবোন মারা যাওয়ার ইতিহাস, সুনির্বাচিত ওষুধের ব্যর্থতা এবং জৈব প্রতিক্রিয়ার অভাব, সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোগের বৃদ্ধি ইত্যাদি টিউবারকুলিনাম এবং ব্যাসিলিনামের বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!