প্রোটিন শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যার অভাব বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকছে কি না, তা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রোটিনের অভাবের কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা আগে থেকেই বুঝতে পারলে বড় কোনো সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
আমাদের শরীরের সঠিক কার্যকারিতা নির্ভর করে আমরা কী ধরনের খাবার খাই তার ওপর। যদি খাদ্যাভ্যাস ঠিক না থাকে, তবে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যদিও প্রোটিনের অভাব খুব সহজে বোঝা যায় না, তবে ঘাটতির মাত্রা বাড়লে নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। কর্মশক্তি কমে যাওয়া, হজমশক্তি দুর্বল হওয়া, এমনকি ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই সমস্যাগুলো চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই সতর্ক হওয়া উচিত।
লক্ষণগুলো দেখে বুঝে নিন প্রোটিনের অভাব হচ্ছে কি না:
১. সব সময় খিদে লাগা: প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। তাই যদি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকে, তবে বারবার খিদে লাগতে পারে। এটি প্রোটিনের ঘাটতির একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
২. রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা: প্রোটিন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত মাছ, ডিম, ডাল, বাদামের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
৩. চুল পড়া: শুধু সুস্থ শরীরই নয়, প্রোটিন ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। প্রোটিনের অভাবে চুল ঝরে যেতে পারে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৪. ক্ষত সারতে দেরি: প্রোটিন ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। যদি কোনো ক্ষত সারতে অনেক সময় নেয়, তবে তা প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
৫. অতিরিক্ত ক্লান্তি: প্রোটিন শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদি পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও আপনি ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে প্রোটিনের অভাব হতে পারে।
সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, ডাল, বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। শরীরে এই উপাদানের ঘাটতি থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, নইলে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!