ডেঙ্গু জ্বর একটি মশা-বাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা বর্ষাকালে বেশি দেখা দেয়। এডিস মশার কামড়ানোর মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ:জ্বর (১০১-১০৪ ডিগ্রি),শরীর ব্যথা,তীব্র মাথাব্যথা,চোখ ব্যথা ও লালভাব,ক্ষুধামন্দা,বমি বমি ভাব ও বমি,গলা ব্যথা,কাশি,শরীরে ফুসকুড়ি
গুরুতর লক্ষণ:প্রচণ্ড পেট ব্যথা,ক্রমাগত বমি,অনিয়ন্ত্রিত পাতলা পায়খানা,রক্তক্ষরণ,দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস,
নিস্তেজতা,বিরক্তি ও অস্থিরতা
ডেঙ্গু বিপজ্জনক কেন:ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর (DHF): রক্তক্ষরণ, রক্তচাপ কমে যাওয়া
ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS): প্লাজমা লিকেজ, রক্তচাপের তীব্র ঘাটতি, মৃত্যুর ঝুঁকি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা:CBC ও NS1 Ag Antigen Test (জ্বরের একদিন পর),CBC ও Anti Dengue Antibody IgG ও IgM Test (৪-৫ দিন পর),জটিলতা থাকলে অন্যান্য পরীক্ষা
চিকিৎসা:বিশ্রাম,জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল,প্রচুর পরিমাণে তরল পান (স্যালাইন, ডাব, স্যুপ, ফলের রস, দুধ)
মনিটরিং: রক্তচাপ, পালস প্রেসার, প্রস্রাবের পরিমাণ
CBC পরীক্ষা
হাসপাতালে ভর্তি: প্রচণ্ড পেট ব্যথা, বমি, পানি জমা, রক্তক্ষরণ, হেমাটোক্রিট বৃদ্ধি, প্লাটিলেট কমে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া
ICU: Dengue Shock Syndrome, প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, লিভার, ব্রেন, হার্ট, কিডনির জটিলতা, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ
ডেঙ্গু হলে কি করবেন না:আতঙ্কিত হবেন না।NSAIDS ব্যথা-নাশক ঔষধ খাবেন না।অত্যধিক তরল পান করবেন না।প্লাটিলেট নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না।স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ খাবেন না।
বিশেষ সতর্কতা:
গর্ভবতী নারী, শিশু, কিশোর, ডায়াবেটিস রোগী ও অন্যান্য ক্রনিক রোগীদের
প্রতিরোধ:
মশা নিয়ন্ত্রণ ও নিধন: ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ,মশারির ব্যবহার,ডেঙ্গু রোগীকে মশারির নিচে ঘুমানো
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!