এইচএমপিভি কী?
এইচএমপিভি হলো শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটানো একটি আরএনএ ভাইরাস।
- এটি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে।
- ধারণা করা হয়, ভাইরাসটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল অন্তত ৬০ বছর আগে।
- শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
লক্ষণ: - সাধারণ সর্দি-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, এবং নাক বন্ধ।
- গুরুতর ক্ষেত্রে ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া হতে পারে।
- শিশু ও দুর্বল ইমিউনিটির ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্রতা বেশি।
কীভাবে ছড়ায়?
এইচএমপিভি ছড়ায় মূলত:
- আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে।
- সংস্পর্শ বা হাত মিলিয়ে।
- দূষিত পৃষ্ঠ বা বস্তুর মাধ্যমে।
এইচএমপিভি কোভিডের মতো ভয়াবহ নয় কেন?
এটি নতুন ভাইরাস নয়; মানুষ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা ইমিউনিটি অর্জন করেছে।
এইচএমপিভি সংক্রমণে ফুসফুসে কোভিডের মতো ব্যাপক ক্ষতি হয় না।
সিডিসি এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখনই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছেন।
সংক্রমণ এড়ানোর উপায়:
এই ভাইরাস প্রতিরোধে কোভিড-১৯-এর মতো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে। - মাস্ক পরা।
- নিয়মিত হাত ধোয়া সাবান-পানির সাহায্যে।
- জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
- সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।
- হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা।
চিকিৎসা:
এইচএমপিভির জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। চিকিৎসা সাধারণত লক্ষণ উপশমের উপর নির্ভরশীল।
- জ্বর কমানোর ওষুধ।
- শ্বাসকষ্ট থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার ও পানি পান।
বর্তমান পরিস্থিতি:
চীনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে ভিড় বাড়লেও এটি মহামারি আকার নেয়নি। - শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি হলেও তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
- ভারতেও কিছু সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, তবে পরিস্থিতি গুরুতর নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতামত: - বাংলাদেশের ভাইরোলজিস্ট এবং সিডিসি বলছে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
- তবে, শিশু, বয়স্ক এবং যারা দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত।
এইচএমপিভি নিয়ে এখনই ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!