ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা জহিরুল ইসলামকে একটি মামলায় আসামী করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,৫ ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন বানিয়াচংয়ের ১৫ টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জহিরুল ইসলাম বানিয়াচং উপজেলা সদরে আসা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিল টি আসার আগেই আওয়ামী সরকারের পতন হয়। ৫ই আগষ্টের আন্দোলনে বানিয়াচংয়ে ৯ জন শহীদ ও ৫ শতাধিক আহত হন। এই শহীদ ও আহতদের নিয়ে চলছে লীলাখেলা। শহীদে ও আহতদের পক্ষে থানায় এজাহার হয়েছে। এর পর আহতদের পক্ষে ২ টি মামলা হয়।
একটি মামলার আসামী জামিনে আছেন। আর একটি মামলা করেন মিনাট গ্রামের সাদ্দাম হোসেন। তিনি মামলায় বিএনপির নেতা কর্মীকে আসামি করেন। এর মধ্যে একজন হলেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা জহিরুল ইসলাম। তিনি ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়নের বাগাতা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৫ই আগষ্ট কাগাপাশা ইউনিয়নে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন।
বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে বিএনপির নিবেদিত কর্মী হিসেবে লিখিত সনদ দিয়েছেন। এর পর ও তিনি আসামী তদন্ত কর্নকর্তা এস আই মিজানুর রহমানের সাথে মুঠে ফোনে জানতে চাইলে,তিনি বলেন। অনেক বিএনপির নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন বলেন" জহিরুল এতো দূর থেকে গুলি করে আহত করলে কেমনে? আরো কি আহত হয়েছে"! সাদ্দাম হোসেন একজন মৎসজীবী।
তিনি আওয়ামীলীগ নেতার সাথে জলমহালে শেয়ারে মৎস শিকার করছেন। বাদী সাদ্দাম হোসেনের এলাকা মানুষ বলাবলি করছে, যেহেতু আওয়ামী নেতা পলাতক তার কথায় বিএনপির নেতাকে মামলায় ফাঁসিয়ে নিজের ফায়দা হাসিল করা। বিএনপির উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ তার নাম এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
ছবি বিএনপির নেতা জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!