পাকা ধান কাটার ধুমে মুখরিত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সবুজ চর। দিনভর কাঁচি হাতে ব্যস্ত চরের কৃষক আর বাইরে থেকে আসা শত শত শ্রমিক, যেন সোনালি ধান কাটার উৎসব চলছে। তবে কষ্টের এই ফসল বিক্রিতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে সন্দ্বীপের কৃষকদের।
সন্দ্বীপ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, চালকল না থাকায় সরকার এখানকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে পারছে না। এতে সরকার নির্ধারিত ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান বিক্রি করতে না পেরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মাত্র ২০ টাকায় ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। সবুজ চরের চাষি নিজাম উদ্দিনের মতো কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, যদি সরকার তাঁদের কাছ থেকে ধান কিনতো, তবে তাঁরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দরে বিক্রি করতে রাজি।
পাকা ধান কাটার ধুমে মুখরিত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সবুজ চর। দিনভর কাঁচি হাতে ব্যস্ত চরের কৃষক আর বাইরে থেকে আসা শত শত শ্রমিক, যেন সোনালি ধান কাটার উৎসব চলছে। তবে কষ্টের এই ফসল বিক্রিতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে সন্দ্বীপের কৃষকদের।
সন্দ্বীপ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, চালকল না থাকায় সরকার এখানকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে পারছে না। এতে সরকার নির্ধারিত ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান বিক্রি করতে না পেরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মাত্র ২০ টাকায় ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। সবুজ চরের চাষি নিজাম উদ্দিনের মতো কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, যদি সরকার তাঁদের কাছ থেকে ধান কিনতো, তবে তাঁরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দরে বিক্রি করতে রাজি।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি চান দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নের কৃষক মো. দুলালও। তিনি বলেন, ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ধান কেনা উচিত। সরকার থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষকরা তাদের খরচ উঠিয়ে ন্যায্য মূল্য পেতেন।
সন্দ্বীপ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, চালকলের অভাবে সন্দ্বীপের ধান কিনে চাল উৎপাদনের পর তা ফের সন্দ্বীপে আনার খরচ বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে এখানকার কৃষকদের ধান কিনতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বলেন, চালকল স্থাপনের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা তিনি আন্তরিকভাবে খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোক্তা আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করবেন। চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ধান কেনা শুরু হলে সন্দ্বীপের কৃষকদের কাছ থেকেও ধান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ অবস্থায় সন্দ্বীপের কৃষকরা আশায় বুক বাঁধছেন, তাঁদের পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পেতে সরকারি উদ্যোগ কার্যকর হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!