ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ বরগুনার আমতলী পৌরসভার অনেক পরিবার এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঝড়ের তীব্র বাতাস ও ঝড়ো জলোচ্ছ্বাসে পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেকের বাড়িঘর ভেসে গেছে।রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেরিঘাট, আমুয়ারচর, শম্মান ঘাট, লঞ্চঘাট, উপকূলীয় ফেরিঘাট, বেড়িবাঁধের বাইরের অংশ বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
ক্ষতিগ্রস্থরা খাবার, পানি ও আশ্রয়ের অভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।অনেকের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় তারা এখন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে তাদের জীবিকাও ব্যাহত হয়েছে।
টেকসই বেড়িবাঁধ, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা যাতে তারা দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।
আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেছেন, প্রতি বছর অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিবৃদ্ধির কারণে পৌরসভার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সে জন্য প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে।ত্রাণ বিতরণ ও মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!