চট্টগ্রামে টানা ছুটিতে ঈদ উৎসব ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের ঢল। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়স লেক, নেভাল, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য।
দ্বিতীয় দিন সকাল নয়টা থেকে পার্ক খোলা থাকায় দর্শনার্থীর ঢল নামে।গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার কারণে ওয়াটার রাইড গুলোতে বেশী আগ্রহী ছিলো বেশী।নৌ-যোগে লেক ভ্রমনের জন্য পার্কে আসেন অনেকেই।বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যাও ছিলো উল্লেখযোগ্য।পহেলা বৈশাখে লোকসঙ্গীত ও বাউল গানের আসর, বাচ্চাদের জন্য বায়োস্কোপ শো ছিলো অন্যতম আর্কষনীয় বিষয়।
সকাল থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় জমে।গত চারদিনে প্রায় ৬০ হাজারের মতো দর্শনার্থী টিকিট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে।দুর্লভ সাদা বাঘ, সিংহ, বানর, হনুমান, জেব্রা ও বিভিন্ন প্রজাতির হরিণসহ অসংখ্য পশুপাখি রয়েছে।পাহাড়ের মাঝখানে থাকা সিঁড়ি এবং শিশুদের রাইডগুলো বেশ উপভোগ করেছে দর্শনার্থীরা।
নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রায় অর্ধ লাখের বেশি পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত ছিল দ্বিতীয় দিন।সাগরের পানিতে গা ভাসিয়ে কেউ গোসল করছে, আবার কেউ মেতে উঠেছেন স্পিড-বোটে।বন্ধু ও পরিবার নিয়ে সমুদ্র পারে বসে উপভোগ করছেন নিরিবিলি একটি সময়।সূর্যাস্তের দৃশ্য ছিল দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল, কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্র ঘাট, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ জাতি তাত্ত্বিক জাদুঘর, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ও হালিশহর সাগর পাড় ছিল লোকে লোকারণ্য।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!