বরগুনার আমতলীর সদর ইউনিয়নের দক্ষিন-পশ্চিম আমতলী, গ্রামে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে বড়ই কাটা ও গাছের গুড়ি দিয়ে দুইটি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আমতলী থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী গ্রামের মোঃ কামাল হোসেন (৪০)এর বাড়ীতে যাওয়ার চলাচলের রাস্তায় একই বাড়ীর মোঃ ইউসুফ মৃধা তার স্ত্রী মোসাঃ মোর্শেদা বেগম পুত্র সামিম মৃধা,কামাল হোসেনের বাড়ীর চলাচলের রাস্তায় গত ১৫ জুন গাছের গুড়ি ও বড়ই গাছের কাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ইউছুফ মৃধা ও কামাল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এবিরোধকে কেন্দ্র করে , মোঃ ইউসুফ মৃধা তার স্ত্রী মোসাঃ মোর্শেদা বেগম পুত্র সামিম মৃধা,গত ১৫/০৬/২০২৪ ইং তারিখ দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী সাকিনে আমার বসত বাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া, বড়ই গাছের কাটা ইত্যাদি দিয়া চলাচলের রাস্তা বন্ধ করিয়া দেয়।
এঘটনা ভুক্তভোগি কামল মিয়া গ্রামের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট তাদের এহেন অন্যায় কার্যকলাপ দেখাইলে গ্রামবাসী মোঃ ইউসুফ মৃধা তার স্ত্রী মোসাঃ মোর্শেদা বেগম পুত্র সামিম মৃধাকে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করার জন্য বলিলে সে গ্রামবাসীসহ কামালকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং মিথ্যা মামলা সহ খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে।
অভিযুক্ত ইউছুফ মৃধা জানান, সে কামাল গংদের কাছে জমি পাবে। চলাচলে রাস্তায় বেড়া দেওয়ার বিষয় কোন কথা বলবেন না বলে জানান। চলাচলের রাস্তার জমি সরকারী জমি বলে ভুক্তভোগি কামাল ও গ্রামবাসী জানান।
ভুক্তভোগি কামাল বলেন, কোরবানীর দুই দিন আগ থেকে চলাচলের রাস্তায় গাছের গুড়ি ও বড়ই গাছের কাটা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা দুইটি পরিবারের সদস্যরা বাড়ী থেকে বের হতে পারছিনা। আমাদের বিরুদ্ধে জমি জমা নিয়ে ইউছুফ মৃধা মামলা করলে আমরা মামলার রায় পাই। মামলার রায় হওয়ার পরেই ইউছুপ মৃধা এ ঘটনা ঘটায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখোয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত পূর্বক আইনগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!