পৃথিবীর সব দেশেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে। লোভ ও অতিরিক্ত ভোগের আকাঙ্ক্ষা থেকেই দুর্নীতির উৎপত্তি হয়।
দুর্নীতিবাজদের নৈতিক বিপর্যয় থেকে অশান্তি ও সার্বিক ধস শুরু হয়। এদের পারিবারিক বন্ধন নেই বললেই চলে। যার ফলে আমাদের দেশে পরিবারের মতো নাগরিক গুণ অর্জনের প্রাথমিক শিক্ষালয় ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে এবং পরিবারগুলো তাদের শিশুদের নৈতিক গুণ অর্জনে সহায়তা করার মতো মূল্যবান কাজ করা থেকে দূরে সরে থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা হলেও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই।
দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনেও বৈষম্য পাখা মেলেছে। আমাদের সমাজ এখনও দুর্নীতিবাজদের সামনাসামনি ঘৃণা করে না, থুতু দেয়ার সাহস পায় না। কারণ দুর্নীতিবাজরা রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে বুক ফুলিয়ে চলার দৌরাত্ম্য দেখায়।
দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিবর্গকে যথাস্থানে বসিয়ে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নিতে হবে। জনগণকেও এ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। যুবকদের সজাগ৷ সচেতন করতে হবে। দুর্নীতির মূলোৎপাটনই হোক আগামী দিনের মূল লক্ষ্য।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!