হাইমচরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে এবং দলীয় পদ পদবী নিয়ে হাইমচর উপজেলায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা সর্দার আব্দুল জলিল মাস্টার।
এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে ব্যবহৃত করতে একটি পক্ষ গণমাধ্যমকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সর্দার আব্দুল জলিল মাস্টার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন আমি আব্দুল জলিল মাস্টার
তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী সরকারের সময় মামলা হামলায় দিয়ে আমাকে নির্যাতিত করা হয়েছে আমি বহুবার আটক হয়ে জেলে খেটেছি ।
গত ৫ নভেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করতে গিয়ে আহত হন হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক আহসান হাবীব। যার বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে সেই সিরাজুল ইসলাম মিরাজ একই কলেজের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী। মিরাজ সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত মূলত গত ৪ নভেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় দিকে। সেদিন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আহসান হাবীব কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলামের সাথে বাকবিতণ্ডা এবং অসদাচরণ করেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করে কলেজ থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আহসান হাবিব পরিকল্পনা করে পরের দিন ৫ই নভেম্বর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিন জুটনসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। (হামলার ভিডিও কলেজের সিসি ক্যামেরায় রের্কডিং আছে ।
যা অনলাইনে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে)। এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে প্রতিহত করে। ওই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আমার ভাগিনা সিরাজুল ইসলাম মিরাজও উপস্থিত ছিল। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বুঝতে পারবেন হাবিব জুটন সহ কয়েকজনে আক্রমণ করছে মিরাজের ওপর আক্রমণ দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তাদের উপর ।
ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল মাস্টার আরো বলেন, ঘটনার সময় আমি ওখানে ছিলাম না
ওই সময়ে আমি ইউনিয়ন পরিষদে বিজেপি কার্ডের চাল বিতরণ করছিলাম। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আমাকে এই প্রতিপন্ন করার জন্য আমাকে জড়িয়ে মিডিয়া বিভিন্ন অপবাদ রটাচ্ছে। মূলত তারা আমার জনপ্রিয়তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই অপচেষ্টা করছে। আমি এই মিথ্যা অপবাদের তীব্র নিন্দা ও জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মধ্যেও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছর আমার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা করেছে। প্রত্যেকটি মামলায় আমি ১/২ নাম্বার আসামি ছিলাম। যার মধ্যে একটি মামলায় আমার বিরুদ্ধে ১০ বছর সাজা হয়েছে এবং আমি দেড় বছর জেল খেটেছি। তাছাড়া অন্যান্য মামলায়ও আমি কয়েকবার জেল খেটেছি। সর্বশেষ, গত বছরের ২৮শে অক্টোবর ঢাকা বিএনপির মহাসমাবেশে আমি কয়েক হাজার জনগণ নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। সেই কারণে আওয়ামীলীগ আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয় এবং আমাকে চেয়ারম্যান থেকে সরানোর জন্য বিভিন্নভাবে হেনস্থা করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি তৃণমূল পর্যায়ে ওর্য়াড ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছি। আমি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত হাইমচর উপজেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম। এরপর ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা নেওয়া নামধারী বিএনপির কিছু নেতা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এমন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। হাইমচর উপজেলার প্রত্যেকটি মানুষ জানে আমি বিএনপির জন্য কি ত্যাগ স্বীকার করছি। আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের বিচারে দাবি করছি । আর হাইমচরে ছাত্র সমন্বয়ক কোন কমিটি নেই । সে যেই হোক কলেজ শিক্ষক ও
শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটনার আমিও চাই বিচার হোক।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!