সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার জের ধরে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করেছেন দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউ/পি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতা।
তিনি বিগত নির্বাচনে (দিরাই-শাল্লা-২ আসনের) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের কর্মী ছিলেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় তিনি নিজে ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের রোষানলে পড়তে হয়েছে। বিজয়ী সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্তার অনুসারীদের হুমকিতে রয়েছেন উল্লেখ করে রোববার রাতে নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় ভাটিপাড়া ইউনিয়নের গণমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২ নং ভাটিপড়া ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতা। লিখিত বক্তব্যে তিনি এমপির লোকজনের হুমকি ধামকি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিত্যা প্রপাগান্ডার অভিযোগ করেন। নিজেকে আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী সাবেক ছাত্রলীগার দাবি করে বলেন, আজ আমি ও আমার কর্মী সমর্থক সহ পরিষদের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসময় ভাটি পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই চেয়ারম্যান তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেন সাংবাদিকদের। তিনি তাঁর নিজের বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা প্রসঙ্গে জানান, যেহেতু ভাটিপড়া ইউপি ভবন কমপ্লেক্স নাই সেহেতু এতদিন আমরা স্থানীয় বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে পরিষদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলাম। স্থানীয় সংসদ প্রভাব খাঁটিয়ে ক্ষমতার জোরে নির্বাচনকালে তাঁর কাঁচি মার্কার কার্যালয় করে ফেলেন এবং আমরা যাঁরা নৌকার সমর্থক ছিলাম তাঁদের বের করে দেন। সেই থেকে ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি এবং পরামর্শে আমার বাংলা ঘরেই সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এসময় তিনি আরো উল্লেখ করেন, হাওরোদ্যোসিত এই ইউনিয়নের মধ্যস্থল হওয়ায় এ গ্রাম হওয়ার জন্য গণমানুষের দাবি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে এখানে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় করা হয়েছে। পরিষদের অন্য সদস্য সহ কর্মরত সরকারি কর্মচারী ও কাগজপত্র সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশগুলোর নিরাপত্তার জন্য এই অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। তিনি প্রবাসে থাকেন সুস্থতা ও কর্মদক্ষতা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন এসময় তিনি।
সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সদস্যগণ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. জাকির হোসেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি সচিব জাকির হোসেন জানান আইনী কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এখানে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসেবে। পরিষদের নির্বাচিত অন্য সদস্যগণও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!