মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে উপস্থিত স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। চিকিৎসক ও নার্সদের অনেককে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়। খবরটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বুধবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পরবর্তী দাফন সংক্রান্ত কর্মসূচি পরে জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির প্রেস উইং জানায়, মৃত্যুকালে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, প্রয়াত পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপিকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে রূপ দেন এবং দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
লগইন
জানা গেল খালেদা জিয়ার জানাজার সময় ও স্থান | ছবি সংগৃহীত
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!