স্টাফ রিপোর্টার - ইমরান হক।।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, গত ১৫ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে বাংলাদেশের ইতিহাসে তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের যতো নেতা-কর্মী রক্ত দিয়েছে আর কেউ এতো রক্ত দেয় নি। আমরা এ রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। নির্বাচন খুব সন্নিকটে। জনগণের সেবা করে সেবক হয়ে রক্তের বদলা নেবো। এই চাঁদপুরে বহু নেতা-কর্মী আন্দোলনের রাজপথে ছিলেন, বহু নেতা-কর্মী কারাগারে গিয়েও সাহস যুগিয়েছেন। সুতরাং আমরা সকলে মিলে আগামী দিনের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী যাকেই করা হয়, ধানের শীষ নিয়ে যিনি আসবেন, তাকে আমাদের জয়যুক্ত করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শ্রমিক মেহনতি সাধারণ মানুষের মন জয় করার কাজ করতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার হোসেনপুর সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠে ২নং আশিকাটি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন আয়োজিত সাংগঠনিক মতবিনিময়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান।
আশিকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ ইউসুফ মিন্টু মিয়াজির সভাপতিত্বে সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী আলী আশরাফ (রিপন) ও সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান সুমন।
সভায় সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকির হোসেন ফয়সাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, আক্তার হোসেন সাগর, দপ্তর সম্পাদক শরিফ আহমেদ খান, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল পাটোয়ারী, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নজু, উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাছরিন রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পারুল আক্তার, আশিকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, সদর থানা বিএনপির পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম পাটওয়ারী বাবুল, জেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমেদ জিতু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জিসান আহমেদ, যুবদল নেতা জুলহাস আহমেদ জুয়েলসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক আরো বলেন, বিএনপির ১৫ বছরের আন্দোলনের ফসল ৫ আগস্ট। ১৫ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের বিপদে রেখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের মূল শক্তি তৃণমূল বিএনপি। তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারো সাথে আপস করেন নি। এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, আমি ওই লোকটাকে ঘৃণা করি, যে ফ্যাসিবাদকে পকেটে নিয়ে ঘুরে। আরেক ধরনের লোককে ঘৃণা করি, যারা মুখে বিএনপি অন্তরে ফ্যাসিবাদ। ফ্যাসিবাদীদের কোনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ক্ষমতার মসনদে বসানোর জন্যে আমরাই যথেষ্ট।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। কাজেই আমাদের ভেতর দূরত্ব থাকলে তা কমিয়ে আনেন। মানুষের সাথে এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে মানুষ বিএনপির ওপর বিরক্ত হয়। কারো ক্ষতি করবেন না। মনে রাখবেন, ক্ষতির ফল ভালো হয় না। আপনি আপনার সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে। যদি অর্থের অভাবে কারো পড়ালেখার সমস্যা হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
সভায় তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের এবং নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখে আশিকাটি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে চাঁদপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশিকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিল্লাল মাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন রশীদ সরকার, সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মহসীন খান, যুবদলের সভাপতি মো. বারেক খান বারী, সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন খান, কৃষকদলের সভাপতি মোঃ এরশাদ গাজী, সাধারণ সম্পাদক কামাল প্ৰধানীয়া, ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি তাহমিনা বেগম রানু, সাধারণ সম্পাদক আজমেরী বেগম, ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ হৃদয় মাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল গাজীসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!