লগইন
জনগণের সুবিধা-অসুবিধা ও সেন্টিমেন্ট দেখে জনগণের সাথে থেকেই কাজ করতে হবে : শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক
স্টাফ রিপোর্টার - ইমরান হক বাপ্পি।।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ ঠিক করবে তারা কোন দলকে নির্বাচিত করবে। তাই আমাদের দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে বলবো, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা ও সেন্টিমেন্ট দেখে জনগণের সাথে থেকে কাজ করতে হবে। জনগণের বিরুদ্ধে যায়, দলের বদনাম হয় এমন কোনো অনিয়ম আমরা হতে দেবো না।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত নাম ছিলো। এই ইউনিয়নের সন্তান ছিলো বালুখেকো। গত ১৫ বছরে যতো মামলা, হামলা হয়েছে সেই বালু খেকো ছিল এর কালেক্টর। ফ্যাসিবাদের দোসররা এই দেশ থেকে পালিয়েছে। 'বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি কোনো অফিসে না টানানো হলে শান্তি হবে' এই রায় যে বিচারক দিয়েছিলো, সেই বিচারকও পালিয়েছে।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, হাইব্রিডদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হবে। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। তারেক রহমান জনগণের নেতা। আমাদের কোনো হাইব্রিডের প্রয়োজন নেই। বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু দেখাবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ যতো ব্যবস্থা আছে নেয়া হবে। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে কোনো মাদক ব্যবসায়ী, ইভটিজার থাকবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে, প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বিএনপির নেতা-কর্মীর হাতে জনগণের কোনো ধরনের হয়রানি হতে দেয়া হবে না। কেউ যদি এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন, তাহলে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি গত ১৫টি বছর একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে আসছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলছি, যতো তাড়াতাড়ি নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কার করে নির্বাচন দিন। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দিবেন, আমরা দলের নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, নির্বাচনে আমাদের শত্রু অনেকেই। আগে মসজিদে বইসা নিজের নাম ফুটাইত, এখন তারা বড়ো স্টেকহোল্ডার হইয়া গেছে। আমরা তাদের দেখেছি আ.লীগের লোকদের সাথে থেকে কোর্টে জামিন চাইতো। মামলায় আমাদের দলের শত শত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হতো, আর তাদের থাকতো মাত্র ২-৩ জন।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিদ্দিক ভূঁইয়া।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান ও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী।
দলীয় সাংগঠনিক আলাপ আলোচনার জন্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভাটি মতবিনিময় সভা হলেও নেতা-কর্মী ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে সেটি রূপ নেয় জনসভায়।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ বেপারীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. জাকির হোসেন ফয়সাল, যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন সাগর, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম জমাদার, সদর
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নজু, যুগ্ম আহ্বায়ক আ. মান্নান খান কাজল, যুগ্ম সম্পাদক জুলহাস জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জিসান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ খান, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব দাদন খান, সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খান, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান খান সফু মেম্বার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ গফুর বেপারী, সুমন ঢালী, মো. তৈয়ব আলী খান, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুরু পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বেপারী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফয়েজ বেপারী, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ মিজি, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাহিন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক তানভীর রাসেল, মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা বেগমসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!