হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইমরান আহমেদ এর বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহর বড় চাচা মো. সুকুর মিয়া (শুকু মিয়া) আর নেই। আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যকালে মো. সুকুর মিয়ার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী দুই ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মরহুম জয়নাল আবেদীনের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগে দীর্ঘদিন বসবাস করেন।
জানা গেছে, গত দুই বছর যাবৎ মো. সুকুর মিয়া কিডনী ও ডায়াবেটিকজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি ছয়মাস যাবৎ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর পিজি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সবশেষ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এবং সেখানে তিনি বুধবার সকালে মারা যান।
ছেলে মো. ইমরান আহমেদ জানান, বুধবার বাদ জোহর রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ মাগরিব বা এশা হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তার বাবা মরহুম মো. সুকুর মিয়াকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এ দিকে মো. সুকুর মিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, সাবেক অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো. কবির হোসেন কাজীসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়াও শোক জানিয়ে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মাহবুবর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি বিএম হান্নান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র দাস, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি, রিপোটার্স ইউনিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!