বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বারবার আগুন লেগেছে। গত ২২ বছরে এই সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়েছে শতাধিক একর বনভূমি। প্রতিবার আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়িত্ব সারছে বন বিভাগ। কিন্তু তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ বাস্তবায়নে কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না বন বিভাগের।
কঠোর মনিটরিংয়ের অভাব: পরিবেশবাদীরা মনে করেন, সুন্দরবনে একের পর এক আগুন লাগার জন্য বন বিভাগই দায়ী। কারণ, বন বিভাগ কঠোরভাবে বন পর্যবেক্ষণ করছে না।
মুনাফালোভীদের আগুন: অসৎ বনকর্মকর্তাদের যোগসাজশে মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ীরা বারবার সুন্দরবনে আগুন লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি: বারবার আগুনে পুড়ে বন্যপ্রাণীদের আবাস ও প্রজননস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বনের প্রাণ-প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
তদন্ত কমিটি: অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতে এড়াতে সুন্দরবন গবেষক, বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনগণ, পরিবেশ সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত।
ওয়াচ টাওয়ার: বনে নিয়মিত ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারি করা উচিত।
বনের ভেতরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ: বনের ভেতরে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করা উচিত।
ইআইএ: সুন্দরবনে ইআইএ ছাড়া অপরিকল্পিত খাল খনন বন্ধ করা উচিত।
সচেতনতা বৃদ্ধি: স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সুন্দরবন রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
প্রযুক্তির ব্যবহার: সুন্দরবন রক্ষায় ড্রোন ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা উচিত।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দোকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে চাঁদপার রেঞ্জে কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!