বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি খাতের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। উপদেষ্টা বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে এবং আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় সার আমদানিসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সার সরবরাহ ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাই দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বেশি দামে জ্বালানি কিনে সার উৎপাদন করলেও কৃষকদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হবে না। পাশাপাশি সার পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) বিএডিসিকে সার আমদানির জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বালাইনাশক বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে।

গত এক বছরে ২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, ৩টি প্রকল্প সংশোধন এবং ২টি বাতিল করা হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, তার দায়িত্বকালে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় ১০ শতাংশ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো চীনে আম রপ্তানি, চলতি মৌসুমে ৬২ হাজার টনের বেশি আলু রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া গাবতলীতে রপ্তানির জন্য একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণাধীন রয়েছে।