মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শামছুল হকের পরিবার জাতীয় দিবসগুলোতে উপেক্ষিত থাকার অভিযোগ করে তাদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন।
শহীদ শামছুল হক ওরফে সামছুল হুদা মীর বাড়ির প্রয়াত বন্দে আলী মীরের সন্তান। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন এবং তাকে কসবায় গণকবরে দাফন করা হয়।
শহীদ শামছুল হকের পরিবার জানায়, আজ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেউ শহীদ পরিবার হিসেবে তাদের খোঁজ নেয়নি। জাতীয় দিবসগুলোতেও পরিবারের কাউকে স্মরণ করা হয় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজালা রানী চাকমা বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল আজিজ সাহেব দেখেন। তিনি বলেন, দাওয়াতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি-না, বিষয়টি তার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হবো।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ বলেন, শহীদ শামসুল হকের কোন ওয়ারিশ আছে কি-না বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নন। তিনি বলেন, যদি কোন ওয়ারিশ থাকে তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে তারা পরবর্তী সকল আয়োজনে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
শহীদ শামছুল হকের পরিবারের অভিযোগ সত্যি হলে তাদের প্রতি উপেক্ষা করা অন্যায়। স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উচিত শহীদ পরিবারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। শহীদদের স্মরণে জাতীয় দিবসগুলোতে তাদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো ও তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করা উচিত।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!