logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - জাতীয়- জালিয়াতির পরও টিকে আছে মেডিকিট

জালিয়াতির পরও টিকে আছে মেডিকিট

জালিয়াতির পরও টিকে আছে মেডিকিট । ছবি সংগৃহীত

সরকারি টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গ, বিল অব এন্ট্রি জালিয়াতি ও শিপমেন্টে ভুয়া তথ্য প্রদান—এসব গুরুতর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও নতুন নতুন দরপত্রে অংশ নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেডিকিট করপোরেশন। ঢাকার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে এমআরআই ও সিটিস্ক্যান সরবরাহে জালিয়াতির অভিযোগ থাকলেও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং নতুন আরও পাঁচটি দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি—যা ঘিরে উঠেছে প্রশ্নের ঝড়।


২০২৩ সালের জুলাই মাসে হাসপাতালের ‘জিডি-১০’ প্যাকেজের আওতায় ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ পায় মেডিকিট। শর্ত ছিল—যন্ত্রের উৎপত্তি, উৎপাদন ও শিপমেন্টের দেশ এক হতে হবে, এবং তা হতে হবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো বা নরওয়ে থেকে। কিন্তু মেডিকিট শিপমেন্ট করে সিঙ্গাপুর থেকে এবং এই বিষয়টি আড়াল করতে কাগজপত্রে সিঙ্গাপুরের নাম মুছে ফেলে।


এই জালিয়াতি ধরা পড়ে বিল অব এন্ট্রির যাচাইয়ের সময়। ধরা পড়ে কনসাইনের স্থানে সিঙ্গাপুর শব্দ মুছে দেওয়ার প্রমাণ। প্রমাণ হাতে পেয়েও কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে অভিজ্ঞতা সনদ বাতিল করা হয়—কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি, হয়নি কালো তালিকাভুক্তিও।

আরও পড়ুন

আইসিটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ

আইসিটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ

অবাক করার মতো বিষয় হলো, জালিয়াতি প্রমাণের পরও চলতি বছরের মার্চে ডাকা পাঁচটি নতুন টেন্ডার—জিডি-১২এ, ১২বি, ১১বি, ১১সি ও ১১ই—সবকটিতেই অংশ নিয়েছে মেডিকিট করপোরেশন। অভিযোগ উঠেছে, একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এ কাজগুলো আবারও তাদের পাইয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।


হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতিতে এমন জালিয়াতি রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সাধারণ ব্যবসায়ী এমন বড় প্রকল্পে কীভাবে অভিজ্ঞতা ছাড়াই কাজ পায়?


অন্যদিকে ওএমসি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানও একই টেন্ডারে অংশ নেয় এবং কাজ পায় ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রয়েছে করোনাকালে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ৪০০ টাকার করোনা কিট সরবরাহের কেলেঙ্কারি আজও রয়ে গেছে তদন্তের বাইরে।


এই ঘটনায় সাবেক পিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান কালবেলাকে জানান, মেডিকিট করপোরেশন শর্ত ভঙ্গ করায় যন্ত্রপাতি গ্রহণ বন্ধ এবং সনদ বাতিল করা হয়েছিল। তবে এখন আর তিনি দায়িত্বে নেই, তাই পরবর্তী অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত নন।


বর্তমান পিডি মো. রফিকুল হক জানিয়েছেন, জালিয়াতির প্রেক্ষিতে বিপিপিএ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


এ ঘটনায় মেডিকিট করপোরেশনের মালিক শামীম আশরাফীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

জালিয়াতির পরও টিকে আছে মেডিকিট

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

সরকারি টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গ, বিল অব এন্ট্রি জালিয়াতি ও শিপমেন্টে ভুয়া তথ্য প্রদান—এসব গুরুতর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও নতুন নতুন দরপত্রে অংশ নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেডিকিট করপোরেশন। ঢাকার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে এমআরআই ও সিটিস্ক্যান সরবরাহে জালিয়াতির অভিযোগ থাকলেও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং নতুন আরও পাঁচটি দরপত্রে

অংশগ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি—যা ঘিরে উঠেছে প্রশ্নের ঝড়।


২০২৩ সালের জুলাই মাসে হাসপাতালের ‘জিডি-১০’ প্যাকেজের আওতায় ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ পায় মেডিকিট। শর্ত ছিল—যন্ত্রের উৎপত্তি, উৎপাদন ও শিপমেন্টের দেশ এক হতে হবে, এবং তা হতে হবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো বা নরওয়ে থেকে। কিন্তু মেডিকিট শিপমেন্ট করে সিঙ্গাপুর থেকে এবং এই বিষয়টি আড়াল করতে কাগজপত্রে সিঙ্গাপুরের নাম মুছে ফেলে।


এই জালিয়াতি ধরা পড়ে বিল অব এন্ট্রির যাচাইয়ের সময়। ধরা পড়ে কনসাইনের স্থানে সিঙ্গাপুর শব্দ মুছে দেওয়ার প্রমাণ। প্রমাণ হাতে পেয়েও কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে অভিজ্ঞতা সনদ বাতিল করা হয়—কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি, হয়নি কালো তালিকাভুক্তিও।