র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী,ধর্ষণ, অপহরনসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানী একটি বিশেষ আভিযানিক অপারেশন দল কর্তৃক অদ্য বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী রাত্রী-০০.৩০ ঘটিকায় রাজশাহীর তানোরের চাঞ্চল্যকর "পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী নিহত" এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী ১/ মোঃ হাকিম বাবু (৩৪), পিতা- মোঃ হাবিবুর, (এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী), ২/ মোঃ সুফিয়ান (৩৬), পিতা- মোঃ সাইদুল, উভয় সাং- লালপুর, ডাকঘর- লালপুর,থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহী (এজাহারনামীয় ১২ নং আসামী) দ্বয়কে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানাএলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে র্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানীর আরেকটি বিশেষ আভিযানিক অপারেশন দল কর্তৃক একইদিন অদ্য ২৯ ফেব্রুয়ারী রাত্রী-০১.১০ ঘটিকায় মামলার ৩/ মূলহোতা মোঃ আবুল হাসান (৪২), পিতা- মোঃ হাবিবুর, সাং- লালপুর, ডাকঘর- লালপুর, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহী (এজাহারনামীয় ১নং আসামী), ৪/ মোঃ শাহীন (২৫), পিতা- মোঃ হাবিবুর রহমান, (এজাহারনামীয় ৬নং আসামী) এবং ৫/ মোঃ রাশেল (৩০), পিতা- মৃত লুৎফর, উভয় সাং- বিলশহর, ডাকঘর- লালপুর, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহী (এজাহারনামীয়- ৯নং আসামী) গনকে কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় সূত্রে ও আসামীদের জবানবন্দিতে জানা যায় যে, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মামলার ১নং আসামী হাসান মেম্বার। এরআগে থেকেই সুমি খাতুনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জিয়াউল ইসলামের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে জিয়ারুলকে সতর্ক করে। পরে ডিপ টিউবওয়েলের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায় এছাড়াও হাসান মেম্বারের সার বিষের দোকানে আগুন দেয় কে-বা কারা। এ নিয়ে মামলাও করে হাসান মেম্বার। এসকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১শে ফেব্রুয়ারী রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জিয়াউলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এরই প্রেক্ষিতে নিহত ভিকটিমের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে রাজশাহী তানোর থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৫/৪৯, তারিখ-২২/০২/২০২৪ খ্রিঃ। ধারা-৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ হাকিম বাবু (৩৪),২। মোঃ সুফিয়ান(৩৬),৩। মোঃ শাহীন (২৫), ৪। মোঃ আবুল হাসান (৪২), এবং ৫। মোঃ রাশেল (৩০)গন উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। উক্ত মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব-৫ এর আভিযানিক দল তৎপর রয়েছে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর বিরতিহীন চলমান অভিযানে সিপিএসসি, র্যাব-৫ কতৃক অভিযান চালিয়ে রাজশাহীর তানোরে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহারনামীয় ০৫ আসামীকে ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফ্রেব্রুয়ারী, ২০২৪ ইং) সিপিসি র্যাব-৫, কতৃক ই-মেইল যোগে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গণমাধ্যম কর্মীকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই র্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয় যে, দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে ধর্ষণ, অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র্যাব বদ্ধপরিকর। এ ছাড়াও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি সর্বপ্রকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান থাকবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!